প্রতিবেদন : বাংলার প্রতি কেন্দ্রের নির্লজ্জ বঞ্চনা সত্ত্বেও কর্মসংস্থান ও উন্নয়নে নজির সৃষ্টি করে চলেছে রাজ্য। আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজ, স্বাস্থ্য মিশন-সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়ার পর বাংলার প্রতি বঞ্চনার ধারা বজায় রেখে কৃষকদের ধান কেনার জন্য বাংলার প্রাপ্য ৭৬০০ কোটি টাকাও আটকে দিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-সমস্যা সমাধান ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া
কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রতি চূড়ান্ত অমানবিক বঞ্চনা করে চলেছে। তা সত্ত্বেও গ্রামীণ মহিলাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল এবার।
কেন্দ্রের মোদি সরকার নানা উপায়ে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলার মানুষের পেটে লাথি মেরে কি ২০২৪-এর ভোট পকেটে পুরতে পারবে তারা? কেন্দ্রীয় বঞ্চনায় মোদি সরকারের প্রতি বাংলার মানুষ তিতিবিরক্ত। এরপর রাজ্য সরকারগুলি যদি জিএসটিবাবদ অর্থপ্রদান বন্ধ করে দেয়, তখন কেন্দ্র কোথায় যাবে? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে প্রাপ্য বকেয়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সচিব পর্যায়ের বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি দিল্লিতে এই বৈঠকে ছ’টি দফতরের উপস্থিত থাকার কথা। এদিকে, ফের বাংলার প্রাপ্য ৭৬০০ কোটি টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। এই টাকা দিয়ে বাংলার সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনত।
আরও পড়ুন-এগিয়ে এসেছে পরীক্ষার সময়, ভোর থেকেই মিলবে বাস ট্রেন অটো মেট্রো
এরপর কেন্দ্রের এই নির্লজ্জ ভূমিকাকে ছেড়ে কথা বলবেন না কৃষকরাও! আর রাজ্য প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগাতে রাজি না হওয়ায় যদি কেন্দ্রের এই প্রতিহিংসা হয়, তার জবাবও শীঘ্রই পাবে তারা। এই পরিস্থিতিতেও উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে মা-মাটি-মানুষের সরকার আসন্ন অর্থবর্ষে বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। এর ফলে রাজ্যের ১১ লক্ষ ৮০ হাজার গোষ্ঠী উপকৃত হবে। পঞ্চায়েত ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উৎপাদিত সামগ্রী নিয়ে সৃষ্টিশ্রী মেলার উদ্বোধন করতে এসে বলেন, কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও গ্রামীণ অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে রাজ্যে। গোষ্ঠীর কাজ এখন গ্রামে বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হেঁটেই গ্রামীণ শিল্পীদের তৈরি নানা সামগ্রী কর্মসংস্থানের নয়া দিশা দেখাচ্ছে। শুধু যে বাংলার মহিলারা আত্মনির্ভরতার হচ্ছেন তা নয়, তাঁরা দেশকে পথ দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
উল্লেখ্য, কলকাতার বুকে ১২ দিন ধরে চলা মেলায় ২৩ কোটি টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে স্বনির্ভর দলের সদস্যরা ব্যবসা করার জন্য ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এবার তা আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।