প্রতিবেদন : বৃহত্তর কলকাতার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলা পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে একটি অত্যাধুনিক জল শোধনাগার তৈরির কাজে হাত দিচ্ছে রাজ্য। কলকাতার উপকণ্ঠে হুগলি (Hooghly) জেলার উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার হিন্দমোটর এলাকায় ১৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যের বৃহত্তম জল শোধনাগার গড়ে উঠতে চলেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। জলধারণ ক্ষমতার বিচারে যা টালা ট্যাঙ্কের ৬ গুণ। ৫৫ মিলিয়ন গ্যালন জল ধরে রাখতে পারবে এই জলাধার।
এই পানীয় জলপ্রকল্প গড়ে উঠলে ৭টি পুরসভা এবং ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। প্রতিদিন ৫৫ গ্যালন জল শোধন করা যাবে। হিন্দমোটরে যেখানে একটি ফিল্ম সিটি গড়ে তোলার জন্য জমি বাছা হয়েছিল সেখানেই এই জল শোধনাগার গড়ে উঠবে। টালায় এখন ৯ মিলিয়ন গ্যালন জল ধরে রাখার ব্যবস্থা আছে। এখানে থাকবে ৬ গুণ। হিন্দমোটরে প্রস্তাবিত শোধনাগারে ৫৫ মিলিয়ন গ্যালন জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উত্তরপাড়া-কোতরং, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি ও ডানকুনি পুরসভা সহ আশপাশের আরও ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য ৬০টি ওভারহেড ও ৭টি ভূগর্ভস্থ জলাধার গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই কাজ ২০১৯ সালেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- সেঞ্চুরি দেখতে চাই কন্যাশ্রী নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
গঙ্গা থেকে জল তুলে তা হিন্দমোটরের শোধনাগারে টেনে আনতে নদীতে একটি ইনটেক জেটি স্থাপন করা হয়েছে। বসানো হচ্ছে পাইপ লাইনও। এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কেএমডিএ-র চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানান, টালা ও পলতা বেশ পুরনো। তবে হিন্দমোটরের প্রকল্পই রাজ্যের বৃহত্তম প্রকল্প হতে চলেছে। সবচেয়ে বড় জল শোধনাগার হতে চলেছে সেটি। রোজ ৫৫ গ্যালন জল সেখানে পরিশোধন করা যাবে। স্থানীয় পুরসভাগুলি এই প্রকল্প গড়ে তুলতে বা তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে না বলে আগেই জানিয়েছিল। কিন্তু মানুষ যাতে পানীয় জল থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেএমডিএ এই প্রকল্প গড়ে তুলছে এবং প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ করবে। এখান থেকে পরবর্তীকালে পাইপের মাধ্যমে আমরা উত্তর কলকাতা ও ব্যারাকপুর মহকুমাতেও জল নিয়ে যেতে পারব। জল শোধনাগারের পাশে একটা ইকো পার্কও গড়ে তোলা হচ্ছে।