প্রতিবেদন : রোগী এবং তার পরিবারের সদস্যদের আপৎকালীন সহায়তা দিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সমস্ত সরকারি এবং এজেন্সি নিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্সে প্যানিক বাটন (Panic Button) রাখা বাধ্যতামূলক করছে। যে কোনও বিপদ আপদে অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা রোগীর পরিজন সেই প্যানিক বাটন টিপলেই বিপদসংকেত নিমেষে পৌঁছে যাবে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের কন্ট্রোল রুমে এবং পুলিশের কাছে। খবর পাওয়া মাত্রই অ্যাম্বুল্যান্সের অবস্থান খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া নেবে রাস্তায় থাকা ট্রাফিক পুলিশ। এই ব্যবস্থা এবার চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে সমস্ত অ্যাম্বুল্যান্সে লাগু করা হবে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের প্রায় ৩০০০ অ্যাম্বুল্যান্সে বসতে চলেছে প্যানিক বাটন।
আরও পড়ুন- রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীই ঘুরিয়েছেন অর্থনীতির চাকা : স্নেহাশিস
রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য দফতরের কাজে যুক্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অ্যাম্বুল্যান্স। প্রায় ১ হাজার ‘১০২’ অ্যাম্বুল্যান্স, প্রায় ২ হাজার ‘নিশ্চয় যান’ এবং ৩০০ প্রত্যক্ষভাবে স্বাস্থ্য পরিবহণের অধীনস্থ সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য পরিবহণের অধীনস্থ সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সগুলিতে এই ব্যবস্থা আছে। কিন্তু সমস্যা হয়েছে নিশ্চয় যানগুলির মালিককে খুঁজে বের করতে। ব্যক্তিগত মালিকানার এই গাড়িগুলির নম্বর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের কর্তাদের কাছে থাকে।
প্রয়োজনে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়। রাজ্যজুড়ে সেই সমস্ত নম্বর জোগাড় করে তাঁদের ডেকে প্যানিক বাটন (Panic Button) লাগানো অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ কাজ। তবে দ্রুত এই কাজ সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দফতরের মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। কেননা, এই গাড়িগুলি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তাঁদের কাছেই আছে। সেই সূত্রে সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সগুলির যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে, সেগুলিতে দ্রুত প্যানিক বাটন লাগানোর কাজ করা হবে। বাকি অ্যাম্বুল্যান্সগুলির মধ্যে এখনও পর্যন্ত আনুমানিক ২০০টি অ্যাম্বুল্যান্সে প্যানিক বাটন লাগানো আছে।