লোকসভা ভোটের (Loksabha election) আর বেশি দিন বাকি নেই। তৈরী হচ্ছে রণসজ্জা। ভোটের আগে ৫ দিনের জেলা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবিবার হাসিমারা হয়ে কোচবিহার গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। রাজবংশী ভাষার কমপক্ষে ২০০টি স্কুলের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ৪৩টি নতুন বাসের সূচনা করলেন তিনি। এছাড়াও এদিনের প্রশাসনিক সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি ফিরে পাট্টা বিলি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-‘তৃণমূল সরকার যতদিন আছে, মানুষের পাশে থাকব’ বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন মঞ্চ থেকে সেল্ফহেল্প গ্ৰুপের সদস্যদের নিশানা করে তিনি বলেন, ‘শুনছি ‘সেলফ হেল্প গ্রুপের অনেকে গোপনে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমি কিন্তু সেলফ হেল্প গ্রুপের অনেক কাজ করে দিই। কিন্তু আমি শুনেছি, কোচবিহারের অনেক জায়গায় এমন অনেক সেলফ হেল্প গ্রুপ রয়েছে, যারা গোপনে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। তাঁদের বলব আমাদের সঙ্গে থাকুন। কাজ করতে অসুবিধা হলে আমি দেখে নিচ্ছি। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার, গ্রামীণ রাস্তা, কমিউনিটি হল, ক্ষুদ্র শিল্প প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়েছে। দিনহাটা গোসাইমারা রাস্তা ১৬ কোটি টাকা খরচ করে করা হচ্ছে। মেখলিগঞ্জ চ্যাঙড়াবান্দা রাস্তা ২১ কোটি টাকা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ২ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন-বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরে গেল মেডিক্যাল-মামলা, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৫০০ কোটি টাকার ১৯৮ টি প্রকল্পের উদ্বোধন শিলন্যাস করা হল। মহাবীর ১৫ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের মূর্তি এক কোটি টাকা খরচ করে করেছি, সেটা উদ্বোধন হল। মাথাভাঙ শীতলকুচি রাস্তায় উন্নয়নের জন্য ২৯ কোটি টাকা. গোপালপুরে কমিউনিটি হল, ১ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার, গ্রামীণ রাস্তা, কমিউনিটি হল, ক্ষুদ্র শিল্প প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়েছে। দিনহাটা গোসাইমারা রাস্তা ১৬ কোটি টাকা খরচ করে করা হচ্ছে। মেখলিগঞ্জ চ্যাঙড়াবান্দা রাস্তা ২১ কোটি টাকা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ২ কোটি টাকা। কোচবিহারে মেডিক্যাল কলেজের জন্য ২৫ একর জমিও দিয়েছি। ২ কোটি লক্ষ্মীর ভান্ডার পান। আরও ১৩ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারে যুক্ত হবেন। ১০লক্ষ ওল্ড এজ পেনশন পান। অসময়ের বৃষ্টিতে চাষিদের ক্ষতি হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ চাষিকে ১০২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মেধাশ্রী শুরু করেছে। ১০ লক্ষ টাকা করে স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হয়েছে। কোচবিহারে মেডিক্যাল কলেজের জন্য ২৫ একর জমিও দিয়েছি। ২ কোটি লক্ষ্মীর ভান্ডার পান। আরও ১৩ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারে যুক্ত হবেন। ১০লক্ষ ওল্ড এজ পেনশন পান।’
আরও পড়ুন-পলিটেকনিক, আইটিআইতে মেয়েদের যোগদান বাড়াতে উদ্যোগী রাজ্য
তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে কী করি না আমরা। ধূপগুড়ি সাব ডিভিশন চেয়েছিল, করে দিয়েছি। ২০১৫ সালের পর কোচবিহারে নাকি কোনও ভ্যালুয়েশন বোর্ড তৈরি হয়নি। তাই যাঁদের বাড়িতে নোটিস যাচ্ছে, তাঁরা এখন নোটিস পেয়ে কিছু করবেন না। কোনও ট্যাক্স এখন বাড়়বে না। একশো দিনের কাজের টাকা দেয় না। আমি তিন থেকে চার বার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। বাংলা আবাস যোজনা। আমরা অর্ধেক দিই, ওরা অর্ধেক দেয়। সেই টাকাও জিএসটি দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। এখন সেটাও বন্ধ। পথশ্রীতে ১২ হাজার রাস্তা করেছি। আরও ১২ হাজার গ্রামীণ রাস্তা হবে পথশ্রীতে। রাজ্য জুড়ে বাংলার সহায়তা কেন্দ্র চলছে। কারোর কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে সমস্যা হয়, তাহলে ১২ তারিখ পর্যন্ত স্টেশনে আধিকারিকরা থাকছেন। পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও থাকবেন।’ সবমিলিয়ে কোচবিহারের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরেকবার দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন।