ইসলামপুরে (Islampur) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রোড শোকে কেন্দ্র করে এদিন জনবিস্ফোরণের সাক্ষী রইল গোটা বাংলা। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হল পুলিশকে। দীর্ঘদিন পর এই জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন তাই স্বাভাবিকভাবেই তাকে কেন্দ্র করে উৎসাহ উদ্দীপনা আবেগ তুঙ্গে। সেই আবেগের সঙ্গে মিশে গেলেন নেত্রীও । নিজের চেনা ভঙ্গিতেই সারলেন জনসংযোগ। ৮ থেকে ৮০ মিলেমিশে একাকার সেই আবেগের ভিড়ে।
আরও পড়ুন-চোপড়ায় জনসংযোগে জনজোয়ার, জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে উচ্ছ্বাস
এদিন পদযাত্রা শুরুর নির্ধারিত জায়গার প্রায় ৩০০ মিটার আগেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তার পাশে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের জেরে চৌরঙ্গী মোড়ের একটু আগে নেমে মানুষের সঙ্গে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সঙ্গে তুললেন সেলফিও।রাস্তার দু’ধারে অগণিত তৃণমূল কর্মী সমর্থক ও সাধারন মানুষ প্ল্যাকার্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন। আগামী ২ তারিখ থেকে যে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তাতে ইসলামপুরবাসীর বিপুল সমর্থন ধরা পড়ল এদিন। কারো সঙ্গে হাত মেলালেন, কাউকে আবার আশীর্বাদ করলেন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে এত কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হারাতে চাইলেন না কেউই, নিরাশ করলেন না মুখ্যমন্ত্রীও। সেই কারণেই যে রাস্তা দিয়ে তাঁর গাড়ি করে যাবার কথা ছিল সেখানেও পায়ে হেটে মানুষের সঙ্গে মিশলেন নেত্রী। সফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রা।
এদিন চোপড়া থেকে বেলা ১২ টা নাগাদ ইসলামপুরের দিকে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ১২:১৫ মিনিট নাগাদ চৌরঙ্গী মোড়ে বিশ্বকবির মূর্তিতে মাল্যদান করেই জনসংযোগ শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত কাছ থেকে প্রিয় ‘দিদি’কে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা। রাস্তায় হাঁটার পথে এক সদ্যোজাতর দিকে চোখ যায় মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁকে কোলে নিয়ে আদর করেন, তাঁর নামকরণও করেন তিনি।
আরও পড়ুন-বিরাটকে দেখে শেখো : রোহিত
বাংলার মেয়েকে যেভাবে দেখে অভ্যস্ত আমজনতা এদিন ঠিক সেই ক্যারিশমাতেই সপ্রতিভ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রার মাঝে পড়ুয়াদের লেখাপড়ার খোঁজ নিলেন, তাঁদের আবদার মিটিয়ে সেলফি তুললেন। আবার মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার পান কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখলেন। সবুজ সাথীদের সঙ্গে কথা বলা থেকে বয়স্ক মানুষেরা ভাতা পাচ্ছেন কিনা তার খোঁজ নেওয়া – এই সব কিছু নিয়েই ইসলামপুরের মানুষের সঙ্গে একেবারে পরম আত্মীয়র মতো মিশে গেলেন জনতার মমতা। আজ মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে, তাই ইসলামপুরের পদযাত্রাতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করতেও দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি ইসলামপুর বাস স্ট্যান্ডের কাছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতেও পুষ্প নিবেদন করেন তিনি। এরপর ইসলামপুর হাই স্কুলের মাঠের অস্থায়ী হেলিপ্যাড থেকেই রায়গঞ্জের দিকে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চোপড়া এবং ইসলামপুরবাসীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান তিনি।