পর্ষদের গুগলিতে ক্লিন বোল্ড প্রশ্ন ফাঁসের চক্রান্ত। স্বচ্ছতার সঙ্গে কীভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায় তা দেখিয়ে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের বিচক্ষণতায় নির্বিঘ্নে কাটল মাধ্যমিকের প্রথম দিন। মালদায় দুই ছাত্র পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টা দুয়েক পর প্রশ্নের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এই অপকর্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই পর্ষদ ওই দুই গুণধরকে ধরে ফেলে কিউ আর কোডের মাধ্যমে। এই বছর থেকে প্রশ্নপত্রে ইউনিক কোডের ব্যবস্থা করেছে পর্ষদ। এছাড়াও প্রতিটি প্রশ্নপত্রে রয়েছে একটি ম্যাজিক নম্বর। পরীক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রার খাতায় ওই নম্বর লিখতে হচ্ছে। ফলে কোন প্রশ্ন কোন পরীক্ষার্থীর কাছে যাচ্ছে তা সহজেই ধরা যাচ্ছে। আর এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই ওই দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হল। পর্ষদ সভাপতি জানান, প্রশ্নপত্রের প্রতি পাতায় ক্রমিক নম্বরের কোড রাখা হয়েছিল। ওই কোডে যে সিরিয়াল নম্বরটি ‘এনক্রিপটেড’ রয়েছে, সেই কোড দেখেই বোঝা যায়, প্রশ্নপত্রটি কোন জেলায় গিয়েছে। কোন স্কুলে ওই প্রশ্নপত্র গিয়েছিল, তা-ও জানা যায় সিরিয়াল নম্বর থেকে। তারপর স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গিয়েছে, কোন পরীক্ষার্থীর হাতে সেই প্রশ্নপত্র পড়েছিল। প্রশ্নপত্রের ছবি তুললে ভিতরে লুকানো কোড সহজেই তাকে চিনিয়ে দেবে।