প্রতিবেদন : ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ইন্ডিয়া জোট ওয়াকআউট করল সংসদের দুই কক্ষ থেকেই। দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ বাজেট অধিবেশনে হেমন্ত সোরেন ইস্যুতে দেখা গেল বিরোধী জোটের মধ্যে ঐক্য। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি নামিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে কেন্দ্র। ইডি কার্যত বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। অবিজেপি রাজ্যগুলিকে টার্গেট করে এভাবেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করছে মোদি সরকার। এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে এদিন লোকসভা এবং রাজ্যসভা থেকে একযোগে ওয়াকআউট করেন বিরোধী সদস্যরা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এজেন্সির দ্বারা নির্লজ্জ অপব্যবহারের প্রতিবাদে সংসদের উভয় কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করে তৃণমূল কংগ্রেসও।
আরও পড়ুন-শপথ নিলেন ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন
এদিন সভা শুরুর প্রথম থেকেই বিরোধী সাংসদদের প্রতিবাদী বিক্ষোভে অধিবেশনের কাজ ব্যাহত হয়। শেষ পর্যন্ত অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিরোধী দলের সাংসদরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোনও ব্যবস্থা নেননি রাজ্যপাল। অযথা টালবাহানা করে বিধায়ক কেনাবেচার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, হেমন্ত সোরেন একজন শক্তিশালী আদিবাসী নেতা। তাঁর এই অন্যায় গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানাতে চাই আমি। বিজেপি-সমর্থিত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির প্রতিশোধমূলক কাজ এটি। একটি জনপ্রিয় নির্বাচিত সরকারকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি আমার ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু। এবং গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে এই কঠিন সময়ে আমি তাঁর পাশে দাঁড়ানোর শপথ করছি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঝাড়খণ্ডের সহনশীল জনগণ কড়া জবাব দেবে। এই গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে বিজয়ী হবেন হেমন্ত।
আরও পড়ুন-ভ্রান্ত নীতি নিয়ে সরব কাকলি
এদিন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের তরফে প্রথম অভিযোগ জানিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ইস্তফাপত্র পেশ করার পর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সে-বিষয়ে রাজ্যপালকে যথাসময়ে জানানো হয়েছিল। তারপরেও তিনি গড়মসি করতে থাকেন। ঝাড়খণ্ডে যা ঘটছে, তা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ কুমার শপথ গ্রহণ করেন মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই আর ঝাড়খণ্ড নিয়ে ইচ্ছাকৃত দেরি করা হল। তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় সাংবাদিকদের বলেন, ইডি যেকোনও অজুহাতে বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার করছে। এখনও অবধি ইডি একটিও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এটা বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা।