নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : কোথাও দেওয়ালির উৎসব কোথাও বা কালীপুজো। কিন্তু উপলক্ষ একই, শক্তির আরাধনা। রাজধানী দিল্লি থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে পূজিতা মা পরিচিত সাবিত্রীপীঠ, কালিকাপীঠ, দেবীপীঠ বা আদিপীঠ নামে। ৫১ সতীপীঠের এক পীঠস্থান এটি। কথিত আছে, দেবী সতীর ডান পায়ের গোড়ালি এখানে পড়েছিল। সেইসঙ্গে প্রচলিত কাহিনি, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরুর আগে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে পঞ্চপাণ্ডব এখানে এসেই দেবীর আরাধনা করেছিলেন। স্মারক হিসেবে নিজেদের ঘোড়াগুলিও দান করেন। আর সেই থেকেই এখানে কোনও কিছু মানত করার আগে ধাতব ঘোড়া দান করার রীতি প্রচলিত আছে। সারা বছরই এখানে নিত্যপুজোর ব্যবস্থা থাকলেও কালীপুজোর তিথি ধরে এখানে হয় দেবীশক্তির আরাধনা। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, পবিত্র মনে কালিকাদেবী মায়ের কাছে যা চাওয়া হয় মা সেই মনস্কামনাই পূরণ করেন!
আরও পড়ুন-না ফেরার দেশে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, এক নজরে কখন কোথায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলার থানেসার শহরের দ্বৈপায়ন হ্রদের উন্মুক্ত, শান্ত আধ্যাত্মিক পরিবেশে মা ভদ্রকালীর এই মন্দির। এখানে মায়ের ‘কঠোর রূপ’। মা কালীর প্রাচীনতম মন্দিরগুলির মধ্যে এটিও একটি। যেহেতু সতীর ডান পায়ের গোড়ালি এখানে পড়েছিল, তাই মন্দিরে ঢোকার আগে শ্বেতপাথরের পা-এর একটি অবয়বও রাখা আছে। ভক্তরা আগে সেখানে পুজো করে তারপর মন্দিরে প্রবেশ করেন। প্রতি বছর দিওয়ালি এবং কালীপুজোর তিথি ধরে বাঙালি এবং অবাঙালি হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয় এখানে। পুজোর আচার অনুষ্ঠানের সঙ্গে চলে ভোগ বিতরণও। কিন্তু করোনাকালে সবদিক মাথায় রেখেই এবারে প্যাকেটজাত শুকনো প্রসাদের ব্যবস্থা করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। স্যানিটাইজার এবং মাস্কবিধি বাধ্যতামূলক প্রত্যেক দর্শনার্থীর জন্য। তবে শুধু কালীপুজোই নয়, বছরের অন্যান্য তিথিতেও ভক্ত সমাগমে উপচে ওঠে এই শক্তিপীঠ।