রাজ্য সরকারকে বদনাম করতেই বারবার এই প্রশ্ন ফাঁসের চক্রান্ত। আমরা সেটা প্রতিহত করবই। মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে ইংরেজি প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানোর প্রসঙ্গে মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। অপরদিকে, পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, বোর্ডকে কালিমালিপ্ত করতেই একটি দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করছে।
শনিবার পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষা শুরুর ৪৫ মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে যায়। ১১ টা থেকে থেকে সাড়ে এগারোটা মধ্যে প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়ার কথা পর্ষদ জানতে পারে। যা নিয়ে কার্যত ক্ষুব্ধ পর্ষদ। এরপরই এগারো জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে বোর্ড। মালদহের এনায়েতপুর হাই স্কুল, ও গয়েশ্বরী প্যারীভুবন শিক্ষা নিকেতন থেকে ফাঁস হয়েছে বলে জানা যায়। এদের মধ্যে সাত জন ছাত্র গোপালপুর হাইস্কুলে পাঠরত। অপরদিকে, বাকি চারজন ভগবানপুর কেবিএস হাইস্কুলের পরীক্ষার্থী। এরা কিউ আর কোডে লাল কালি দিয়ে কেটে প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করেছিল। প্রসঙ্গত, ভগবানপুর কেবিএস হাইস্কুলকে ২৪ জন পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন না করানোয় এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এছাড়াও পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে ১১ টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- পেছন থেকে ছুরি মারা বন্ধ করুন, দিলীপকে নীতি শেখালেন ব্রাত্য
পর্ষদ সভাপতি বলেন, উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে বোর্ডকে বিপদে ফেলার জন্য এটা করা হচ্ছে। এটা একটা দল চক্রান্ত করছে। ওই দলের মধ্যে দিয়েই এই কর্মকান্ড হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়ার কথা একটাই উদ্দেশ্য তাদের যাতে সবার চোখে পর্ষদকে কালিমালিপ্ত করা যায়। আর তার ফাঁকে ওরা নিজেরা ব্যবসা করছে। এদের সকলের কাছ থেকেই ফোন ধরা পড়েছে। তবে সব চক্রান্তকে ব্যর্থ করে আবার পর্ষদ তার পারদর্শিতায় রুখে দিল প্রশ্ন ফাঁসের চক্রান্ত।