সারা দেশের মানুষ একশো দিনের টাকা পেয়েছে, শুধু বাংলার মানুষ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা থেকে বঞ্চিত। বাংলা কেন টাকা পাচ্ছে না, শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চ থেকে সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের মোদি সরকারকে নিশানায় তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের দু-তিনটে বাড়ি ঘুরেই বলে দিলেন সবাই সবকিছু পেয়েছে! এই সাজানো নাটক আর কতদিন করবেন? বাংলায় এসে জিজ্ঞেস করুন, কে কত টাকা পেয়েছে? মনে রাখবেন, শুধু উত্তরপ্রদেশ আর গুজরাত নিয়ে ভারত নয়, এই দেশে বাংলাও আছে। মিথ্যে কথা বলে মানুষের টাকা আটকে রাখবেন না।
আরও পড়ুন- চিলারায়ের মূর্তিই বড় আকর্ষণ, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরি মূর্তি দেখতে ভিড় পর্যটকদের
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একশো দিনের কাজ আর আবাস যোজনায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। আর ওরা বাংলার মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। ভারতে সবচেয়ে বড় চোর-ডাকাত রয়েছে বিজেপিতে, গদি উল্টালে সারা দেশের বিজেপি নেতারা জেলে যাবেন। ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূলকে ভয় দেখানো যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বাংলার মানুষের মনে লেখা আছে। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, বিজেপি আদিবাসী সম্প্রদায়কে সহ্য করতে পারে না। তাই আমাদের রাষ্ট্রপতিও কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে ডাক পান না। দেশের একমাত্র ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীকেও ওরা এজেন্সি দিয়ে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি আদিবাসী সম্প্রদায়কে শুধু নির্বাচনী ভোট ব্যাঙ্কে কাজে লাগায়। বিজেপি যদি আদিবাসীদের জন্য ভাবত, তাহলে মণিপুরের দুই মহিলাকে নগ্ন হয়ে রাস্তায় ঘুরতে হত না, তারা বিচার পেল না কেন? কেন্দ্র ১০০ দিনের খেটে খাওয়া মানুষকে বকেয়া টাকা দিচ্ছে না। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ গ্রামের আদিবাসী মানুষ। একমাত্র আদিবাসীদের জন্য ভাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সবরকম সুযোগ-সুবিধা দেন। নিজেদের সংস্কৃতি বাঁচাতে হলে তাঁর হাত শক্ত করুন। সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তফসিলি জাতি-উপজাতি সকল মানুষের বন্ধু, আমাদের সকলের উচিত তাঁর হাত শক্ত করা। মৌসম বেনজির নুর বলেন, আমাদের নেত্রী আপনাদের চোখের জল মোছানোর চেষ্টা করছেন। সকলে বিজেপিকে হারানোর জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির সাংসদরা দিল্লি গিয়ে বাংলার টাকা আটকে রাখছে। ওদের জবাব দিন ইভিএমে। তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাতে পারবে না। ছলচাতুরি করে বাংলার বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে। বাংলার অগ্নিকন্যার নেতৃত্বেই ওদের অহংকার ভাঙবে। বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, ২০২১ সালে বাংলা থেকে বিজেপি যেভাবে মুছে গেছে, এবার দেশ থেকেও মুছে যাবে। মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর কথায়, বিজেপি দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করছে, দেশের সংবিধানকে হত্যা করছে।