প্রতিবেদন : ওরা আমার ও আমাদের বিরুদ্ধে যেকোনও ষড়যন্ত্র করতে পারে। আমি মাথা নত করব না। বলা হয়েছে আমি বিজেপিতে যোগ দিলে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আমি বলেছি, কখনওই বিজেপিতে যাব না। রবিবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আপের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
আরও পড়ুন-রেড রোডের ধরনা মঞ্চে যুবদের অঙ্গীকার
তাঁর দাবি, আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁকে বারবার সমন পাঠাচ্ছে ইডি। তিনি যদি বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে তাঁকে সেই মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে। এদিন এক্স মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, আমরা যদি কিছু ভুল করতাম, তবে আমরা অন্যদের মতো বিজেপিতে যোগ দিতাম এবং মামলা বন্ধ করে দিতাম। আমরা যখন কোনও অন্যায় করিনি তাহলে বিজেপিতে যোগ দেব কেন? আমাদের বিরুদ্ধে আরোপিত সব মামলাই মিথ্যা। আজ না হলে কাল সব মামলা শেষ হয়ে যাবে। বাকি দিল্লির কোনও কাজ বন্ধ হতে দেওয়া হবে না। সাফ কথা কেজরিওয়ালের। এই ঘটনায় জল্পনা গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে।
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিরোধী শাসিত রাজ্য এবং বিরোধী নেতৃত্বের উপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির আক্রমণ তত জোরদার হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবারকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ক্রমাগত হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ আরজেডি’র। বাংলাতেও একইভাবে নিজেদের তৎপরতা বজায় রেখেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি।
এই আবহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই মন্তব্যে বিজেপির কুৎসিত মুখোশ ও দাঁত নখ আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। কেজরিওয়ালের পরে আপ সরকারের আরেক মন্ত্রী দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী আতিশীর বাড়িতেও গিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
আরও পড়ুন-বামেদের পাপের দায় কেন নেবে তৃণমূল? ক্যাগের মিথ্যাচার নিয়ে তোপ নেতৃত্বের
এরইমধ্যে রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রোহিণীতে একটি স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দাবি করেন, তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, এদিকে ক্রমাগত আম আদমি পার্টির নেতাদের নোটিশ দেওয়া প্রসঙ্গে আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেছেন, আমি বারবার এতে আপত্তি জানিয়ে আসছি। এটা শুধুমাত্র ইডির কাজ নয়। এ সবই নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের দ্বারা করানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে এমন একটি রাজ্যে নেই যেখানে শক্তিশালী বিরোধী দল ইডি, সিবিআই বা আইটি দ্বারা আক্রান্ত হয়নি, যেখানে বিজেপি দুর্বল, সেখানে ইডি শক্তিশালী এবং সেখানে বিজেপির পক্ষে কাজ করতে ব্যবহৃত হয়।