প্রতিবেদন : রিস্টার্ট! টুয়েলভথ ফেইল দেখার পর দ্বাদশ অনুত্তীর্ণদের কাছে এখন মন্ত্র একটাই। আইপিএস মনোজকুমার শর্মা যেন অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন এই সকল ‘ফেলিওর’দের। এঁরা সকলে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, নতুন করে লড়াই করলে সাফল্য একদিন আসবেই। সিলভার স্ক্রিনে মনোজকুমারকে শুধুমাত্র তুলে ধরা হলেও এরকম বহু মনোজকুমার শর্মা কিন্তু রয়েছেন আমাদের আশপাশে। তেমনই এক উদাহরণ মিলল বাংলার জলপাইগুড়ি জেলায়।
আরও পড়ুন-বর্ধিত কর মকুব, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টার
এই জেলার পুলিশ সুপার উমেশ গণপত খাণ্ডবাহালের কাহিনি শুনলে অনুপ্রেরণা পাবেন আপনিও। মহারাষ্ট্রের এক ছোট্ট গ্রামে জন্ম উমেশের। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে-পড়া পরিবারে জন্ম হওয়া সত্ত্বেও কোনওরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকের বেড়াজাল আর পার করতে পারেননি। পরীক্ষকদের ছাঁকনিতে নিজেকে ছেঁকে বার করতে অক্ষম হন উমেশ। তার ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেই ইংরেজি। ২১ নম্বরের জন্য পার করতে পারেননি উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি। সংসার চালাতে দুধ বিক্রি করতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁর চোখ ছিল আকাশের দিকে।
আরও পড়ুন-আমাকে ওরা বিজেপিতে যেতে চাপ দিচ্ছে, কেজরিওয়ালের বিস্ফোরণে খুলে গেল গেরুয়া মুখোশ
ঠিক তখনই রিস্টার্ট বোতাম টেপার কথা স্মরণ করাল মন। ডিসট্যান্সে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করলেন তিনি। মহারাষ্ট্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষাতেই দূরশিক্ষায় সাম্মানিক স্নাতক হন উমেশ। ইউপিএসসির পর আইপিএসের লক্ষ্যভেদ করে আজ জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার পদে কর্মরত তিনি। এর আগেও কোচবিহারের দিনহাটায় এসডিপিও, আলিপুরদুয়ারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কাজ করেছেন এই ‘টুয়েলভথ ফেল’ আইপিএস অফিসার।