প্রতিবেদন : বাম জমানার জট কাটিয়ে ফের নিয়োগের দরজা খুলে দিল রাজ্য। আরও একটা উদ্যোগ সফল হল তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের। মঙ্গলবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় ভাঙল চাকরিপ্রার্থীদের অনশন। সেই পথ ধরেই ২০০৯-এর প্রাথমিকে নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডিপিএসসি। ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবি নিয়ে গত পাঁচদিন ধরে অনশন করছিলেন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মঙ্গলবার সকালেই ডায়মন্ড হারবারে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনমঞ্চে ডিপিএসসি চেয়ারম্যান অজিতকুমার নায়েককে নিয়ে পৌঁছে যান তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। আন্দোলনের পাঁচ দিনের মাথায় ফলের রস আর জল খেয়ে অনশন ভাঙেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরই ডিপিএসসি চেয়ারম্যান সাংবাদিক বৈঠক করে প্যানেল প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন-এক দেশ এক ভোট মানছে না তৃণমূল
আগেই নিয়োগ হয়েছিল ১৫০৬ জনের। এবার বাকি ৩২৮ জন ছাড়াও অতিরিক্ত ৫০ জনের তালিকা প্রকাশিত হল। এদিন থেকেই নিয়োগপত্র পেতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সোমবারই নিয়োগ সংক্রান্ত সুখবর দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের। তিনি জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগে আলোচনার মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত জট কেটেছে। সরকারের সদিচ্ছার কোনও অভাব ছিল না। ২০২১ সালে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পর ১৫০৬ জনকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়। ১৮৩৪ জনের মধ্যে এই ১৫০৬ জন চাকরি পাওয়ার পর যাঁরা বাকি ছিলেন তাঁদের কনভার্টেড প্যানেল এবং অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ যুক্ত করে মঙ্গলবার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন-বুধবার হাওড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান
শুরু হয় নিয়োগের চিঠি পাঠানো। তৃণমূল মুখপাত্র চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, একে একে নিয়োগ শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার সচেষ্ট। আন্দোলনকারীরা যদি একটু সহযোগিতা করেন তাহলে সব জট দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনও ধরনের সমস্যা তৈরি হয় সেগুলোকে দ্রুত সমাধানে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। যেকোনও অসুবিধায় মা-মাটি-মানুষের সরকার আন্দোলনকারীদের পাশে আছে। আন্দোলনকারীরা লিখিত জানান, আইনসম্মতভাবে ব্যবস্থা নেবেন ডিপিএসসির চেয়ারম্যান। এদিন নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন আন্দোলনকারীরা।