প্রতিবেদন : জাতীয় নির্বাচনের একদিন আগে ফের রক্তাক্ত পাক- মুলুক। ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মাঝেই ভয়ঙ্কর বোমা বিস্ফোরণ। বালুচিস্তানে এক প্রার্থীর অফিসের সামনে পর পর বিস্ফোরণে নিহত ২৮, আহত অসংখ্য। বৃহস্পতিবারই পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন। তার আগে ব্যাক টু ব্যাক বিস্ফোরণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেল।
আরও পড়ুন-দুই কক্ষেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল, ধনীদের বাজেট, বঞ্চিত আমজনতা
এমনিতেই আর্থিক সংকট সহ জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার পাকজনতা। তার উপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শিকেয় উঠেছে। গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানে পর পর সন্ত্রাসবাদী হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আলোচনা গোটা বিশ্বজুড়ে। তার মাঝেই ভোটের আগের দিন এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। বালুচিস্তানের পিশিনের খানোজাই এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। আসফান্দ ইয়ার খান কাকর নামে এক নির্দল প্রার্থীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের বাইরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি কার্যালয়ে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বলে মত তাঁর সমর্থকদের।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বিগত কয়েকমাসে বারবার শিরোনামে এসেছে পাকিস্তান। ইমরান খানের জেলবন্দি হওয়ার ঘটনায় বেশ প্রভাব পড়েছে সে-দেশের ভোটে। আদালতের নির্দেশে তিনি জেলবন্দি হতেই তাঁর সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পাকিস্তানের শেষ সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদের ভোটে জেতেন ইমরান খান। আর চলতি বছরের ভোটে প্রার্থীও হতে পারেননি ইমরান। বরং তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরেই বড় প্রশ্নচিহ্ন। এপর্যন্ত তিনটি মামলায় দীর্ঘ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর। পাশাপাশি তাঁর পার্টি তেহরিক- ই- ইনসাফকে ব্যাট প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে পিএমএনএল (নওয়াজ) পার্টির বিরুদ্ধে। এর মাঝেই এই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিরাপত্তা বন্দোবস্ত নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠছে। বালুচিস্তানের যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখানে ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন ছিল। তারপরও কীভাবে বিস্ফোরণ হয় তা নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রায় ৩০ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান।