প্রতিবেদন : মায়ানমারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এর মাঝেই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ভারত সফরে মায়ানমার প্রসঙ্গ বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। বুধবার সকালে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন-ভোটের আগেই রক্তাক্ত পাকিস্তান, ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বালুচিস্তানে, হত ২৮
পরে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে এবং মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ভারত-বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে। এই বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে। ভারতের আমন্ত্রণে দিল্লি এসেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। এদিন সন্ধ্যায় হায়দরাবাদ হাউসে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। ডোভাল গত রবিবার ঢাকা গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক একটি বিবৃতি দেয়। তাতে বলা হয়, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যেসব ভারতীয় রয়েছেন, তাঁরা যেন এখনই সেখান থেকে অন্যত্র চলে যান। যেসব ভারতীয় নাগরিক রাখাইন যাওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁরা যেন কেউ সেখানে না যান। কারণ ওখানকার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। সব ধরনের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এমনকী ল্যান্ডলাইনও অকেজো হয়ে গিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘোর আকাল শুরু হয়েছে। কাজেই এখন মায়ানমারে দেশে না যাওয়াই শ্রেয়। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এদিন জানান, এখনও পর্যন্ত মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিজিপি ও তাদের পরিবারের ২২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এছাড়া মায়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টার শেলে বাংলাদেশের সীমানায় দু’জন নিহত হয়েছেন। এজন্য মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী।