মনেটরি পলিসির (Monetary policy) বৈঠক হওয়ার পরে আজ আরবিআই (RBI) গভর্নর (Governor) রেপো রেট (Repo rate) সংক্রান্ত বড় ঘোষণা করেন। আজ, বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়ে দিল যে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ত্রৈমাসিকে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থাকবে। গত ২০২২ সালের মে মাস থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মূল্যস্ফীতির ফলে বেশ কয়েকটি ধাপে রেপো রেট ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছিল। যদিও গত ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে রেপো রেট অপরিবর্তিত ছিল। জুন ও অগস্ট মাসেও রেপো রেট পরিবর্তন করা হয়নি। অক্টোবরেও অপরিবর্তিত ছিল রেপো রেট। ডিসেম্বরেও পরিবর্তন হয়নি। আজ আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানে বন্ধ হল ইন্টারনেট পরিষেবা
এই কমিটিতে আরবিআই-এর তরফে তিনজন আছেন এবং সরকারের তরফে আরও তিনজনকে মনোনীত করা হয়। এই ৬ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন সদস্যই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। শুধুমাত্র একজন সদস্য রেপো রেট বদলের দাবি করেন। ৫-১ ভোটে রেপো রেট অপরিবর্তিত থেকে গেল। রেপো রেট বাড়ল না বলেই গৃহঋণ গ্রাহকদের পকেটে নতুন করে চাপ পড়বে না। অপরিবর্তিত থাকতে পারে ইএমআই এবং ঋণের ওপর সুদের হার। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানতের হারও অপরিবর্তিত থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-সো মোরিরি-র হাতছানি
দেশের বাজারে খাদ্য পণ্যের দামে অনিশ্চয়তার জেরে ফলে মূল্যস্ফীর হারে সেটা প্রতিফলিত হচ্ছে বলে এদিন জানিয়েছেন আরবিআই গভর্নর। আরবিআই মনে করছে যে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখাই দেশের অর্থনীতির জন্য এই মুহূর্তে ঠিক হবে। আরবিআই-এর আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটির যুক্তি, নিম্ন সুদের হার ব্যবসার জন্য ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধাজনক হবে। কম সুদের হার অর্থনীতির আউটপুট এবং জিডিপি হার বাড়াতে সাহায্য করবে। কিন্তু কম সুদের হারে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। আরবিআই জানাচ্ছে, এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতি ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে ।