প্রতিবেদন : হিমাচলে ট্রেকিং করতে গিয়ে মারাত্মক পরিণতি দুই পর্যটকের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রবল তুষারপাতের মধ্যে আটকে পড়েন অভিনন্দন গুপ্ত (৩০) এবং প্রণীতা ওয়ালা (২৬)। দুজনেই অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়। প্রথমজন পাঞ্জাবের পাঠানকোটের বাসিন্দা এবং দ্বিতীয়জন মহারাষ্ট্রের পুণের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বরফে পা পিছলে গিয়েই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল দুর্ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখা যায় একটি সারমেয় সেখানে বসে রয়েছে। এবং তার মালিক ওই মৃতদের মধ্যে একজন। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও প্রভুকে ছেড়ে কোথাও যেতে চায়নি ওই পোষ্য।
কাংড়া জেলা পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, বীর বিলিংয়ে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন অভিনন্দন এবং প্রণীতা। প্যারাগ্লাইডিং এবং ট্রেকিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস পছন্দ করার কারণে গত চার বছর ধরে হিমাচলেই থাকছিলেন অভিনন্দন। তাঁর সঙ্গে প্রণীতা এবং আরও দুজন পর্যটক ট্রেকিংয়ে যান। একটি বিশেষ পয়েন্ট পর্যন্ত তাঁরা চারজনে গাড়ি করে গেলেও আবহাওয়া খারাপ হতে থাকায় আর এগোনো সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে গাড়ি ছেড়ে হাঁটতে শুরু করেন। দুর্যোগের পরিস্থিতিতে দুজন ওই পয়েন্ট থেকে ফিরে আসেন। কিন্তু প্রণীতা এবং অভিনন্দন এগিয়ে যাওয়া মনস্থির করেন। একদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁরা ট্রেকিং থেকে না ফেরায় পুলিশকে জানান দলের অন্য সদস্যরা। অনুসন্ধানকারী দুটি দল দুইভাগে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালায়। শেষমেশ প্যারাগ্লাইডিং পয়েন্ট থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অভিনন্দন এবং প্রণীতার দেহ উদ্ধার হয়। তখনই দেখা যায় টানা দুদিন ধরে পোষ্য কুকুরটি দেহ পাহারা দিচ্ছে। এই মর্মভেদী দৃশ্য দেখে আপ্লুত অন্য পর্যটকরাও।
ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত পর্যটক, বরফের মাঝে দেহ পাহারা দিল পোষ্য
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রবল তুষারপাতের মধ্যে আটকে পড়েন অভিনন্দন গুপ্ত (৩০) এবং প্রণীতা ওয়ালা (২৬)। দুজনেই অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়