প্রতিবেদন : সিপিএম ও বিজেপির দুই উসকানিদাতা ধরা পড়তেই শান্ত সন্দেশখালি। সন্দেশখালিতে সাম্প্রতিক অশান্তির অন্যতম পান্ডা বিজেপি নেতা বিকাশ সিংয়ের পর ঘটনার মূল চক্রী সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দারকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে তাঁর বাঁশদ্রোণীর বাড়িতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সোমবার আবার গদ্দার অধিকারী সন্দেশখালি যাচ্ছেন অশান্তিতে উসকানি দিতে। পুলিশও তৈরি শক্ত হাতে তা মোকাবিলায়। সন্দেশখালি যাতে নতুন করে উত্তপ্ত না হয় তার জন্য সতর্ক থাকছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এদিন, নিরাপদ সর্দারকে প্রথমে গ্রেফতার করে সন্দেশখালি এবং বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ নিয়ে যায় বাঁশদ্রোণী থানায়। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে জেরা করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে ধৃতকে নিয়ে বসিরহাটে রওনা হয় পুলিশ। অশান্তি পাকানো এবং গন্ডগোলের চক্রান্তের অভিযোগে যে ১১৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল তার এক নম্বরে নাম ছিল নিরাপদ সর্দারের। প্রাক্তন বাম বিধায়ক এই নিরাপদ সর্দারই গত কয়েকদিন ধরে উসকানি জুগিয়েছিলেন সন্দেশখালির গন্ডগোলে। মিথ্যে রটনায় খেপিয়ে তুলেছিলেন সাধারণ মানুষকে। পায়ের তলার মাটি ক্রমশ সরে যেতে থাকায় অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কায় দিশাহারা হয়ে যায় সিপিএম। পরিস্থিতির সুযোগ নেয় বিজেপিও। তারই পরিণতি সন্দেশখালির গত কয়েকদিনের অশান্তি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, গন্ডগোলের মূল চক্রী এই প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কই। সন্দেশখালির যে অংশে এই গণ্ডগোল হয়েছে ক’দিন সেখানে ষড়যন্ত্রে গভীরভাবে যুক্ত ছিল তাঁর দল। তারা হাত মিলিয়েছিল বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গেও। লক্ষণীয়, শনিবার তৃণমূল ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে উত্তম সর্দারকে। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা বিকাশ সিং ও সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দারকে।