সমুদ্রসাথী প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে জোড়া সভা তৃণমূলের। সভার উদ্যোক্তা ছিল আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত মৎসজীবীদের সংগঠন। দুটি সভা থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মী ও জেলার মৎসজীবীরা সমুদ্রসাথী প্রকল্পের জন্য অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সভাস্থলে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সোমবার প্রথম সভাটি হয় কাঁথি সাংগঠনিক জেলার পেটুয়াঘাট মৎস বন্দর এলাকায়। দ্বিতীয় সভা ছিল তমলুক সাংগঠনিক জেলার নিমতৌড়িতে। দুটি সভার প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পেটুয়াঘাটের সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি পীযূষ পাণ্ডা, যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তরুণ জানা, প্রাক্তন বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর প্রমুখ। নিমতৌড়ির সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক, জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, যুব নেতা আজগর আলি পল্টু ও জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি-সহ জেলার প্রথম সারির নেতৃবৃন্দ। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের বাজেট ঐতিহাসিক। বাজেটে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা ভাবা হয়েছে। এভাবে আগে কেউ ভাবেনি। এই লক্ষ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মৎসজীবীদের জন্য নিয়ে এসেছেন সমুদ্রসাথী।
আরও পড়ুন- বিধানসভায় অভব্যতার দায়ে সাসপেন্ড ৬ বিরোধী বিধায়ক
কুণাল বলেন, রাজ্যে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত মাছ ধরায় বিধিনিষেধ থাকে। ফলে সময়টা মৎস্যজীবীরা সমস্যার মধ্যে কাটান। এটা নিয়েও ভেবেছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার থেকে ওই ২ মাস রাজ্যের নথিভুক্ত মৎসজীবীরা মাসিক ৫ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পাবেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে কুণাল বলেন, শুধু সমুদ্রসাথী নয়, এই বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতাও দ্বিগুণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একদিকে যখন কেন্দ্র একের পর জনবিরোধী কাজ করছে, রাজ্যের পাওনা টাকা দিচ্ছে না। তখন রাজ্য সরকার সীমিত সামর্থে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। কুণালের পরামর্শ, মানুষের কাছে এটা আমাদের তুলে ধরতে হবে। আপনারা বাজেট বই হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাজেটে কী কী করেছে তা মানুষকে বোঝাতে হবে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র পেট্রোল- ডিজেল- রান্নার গ্যাস থেকে জীবনদায়ী ওষুধ, সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে, মানুষের ঘাড়ে বোঝা চাপাচ্ছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের বোঝা কমাচ্ছেন, এটা মানুষকে বোঝাতে হবে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে ভোট দিন। এই জেলায় লোকসভার দুটি আসন। ফলাফল ঘোষণার পর যেন দুই কেন্দ্রেই সবুজ আবির-সহ সেলিব্রেশন দেখতে পাই।