প্রতিবেদন : যে স্কুলে একদিন পড়াতেন তিনি, মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সেই স্কুলকেই অত্যাধুনিক সাজে সাজিয়ে তুললেন। সোমবার ভবানীপুরের কাঁসারিপাড়ায় সেই স্কুলেরই উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন নাম ছিল ভবানীপুর নন্দন গার্লস অ্যান্ড বয়েজ স্কুল। নতুন রূপে নামকরণ করলেন ভবানীপুর মডার্ন স্কুল। উচ্চ প্রাথমিক থেকে উন্নত হল মাধ্যমিক স্তরের অত্যাধুনিক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। প্রাথমিকে অবশ্য বাংলা।
আরও পড়ুন-ফের অক্সফোর্ডের আমন্ত্রণ, ‘শিক্ষিকা মমতা’র স্কুল সাজিয়ে ভবানীপুরে উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রীতিমতো নস্টালজিক হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, তখন আমি নিজেই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সকালে কলেজ করে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসতাম স্কুলে পড়াতে। বেতন পেতাম মাত্র ৬০ টাকা। কিন্তু সদ্য বাবাকে হারানোর পরে সেই টাকাটাই খুব কাজে লাগত। ফার্স্ট ইয়ার থেকে থার্ড ইয়ার পর্যন্ত পড়িয়েছি এখানে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তখন আমার বয়সের পার্থক্য মাত্র ৪-৫ বছরের। আমাকে খুব ভালবাসত ওরা। কারণ আমার কাছেই সবচেয়ে বেশি নম্বর পেত ওরা। আজও তাদের অনেকেই এসেছে দূর-দূরান্ত থেকে। খুব ভালো লাগছে। ২/৩ বছর আগে পুজো ভ্রমণে বেরিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বলেছিলাম স্কুলটা নতুন করে গড়ে তুলতে। তা সম্ভব হয়েছে খুব দ্রুত। ৫কোটি টাকা খরচে গড়ে উঠেছে ৫ কাঠা জমির উপর ৫ তলা ভবন। একটি খেলার মাঠ ও একটি মাল্টিজিম করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য তিনি রবিবার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। জুন মাসে তিনি সেখানে যাবেন। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের পড়ুয়ারাও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন ভার্চুয়ালি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সূচনা করেন- বাগজোলা খালের উপর দমদম রোডে নতুন সেতু, ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেসের ৮০০ শয্যার হাসপাতাল ও কলেজের শিলান্যাস এবং চেতলায় কেএমডিএ-র ৬৪টি ফ্ল্যাটের উদ্বোধন।