প্রতিবেদন : বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা ছিল। আদালত নির্দেশ জারি করেছিল। কিন্তু সব ধরনের পরামর্শ ও নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাতভর দিল্লিতে পুড়েছে বাজি। সব বাজিই যে পরিবেশবান্ধব ছিল এমনটাও নয়। মাত্রাছাড়া বাজি পোড়ানোর ফলও মিলল হাতেনাতে। শুক্রবার ভোর থেকেই শারীরিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছে মানুষ। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর থেকেই দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। গোটা দিল্লির আকাশ ঢেকেছে ধোঁয়ায়। ইতিমধ্যেই দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার বহু মানুষ গলার সমস্যায় ভুগছেন। অনেকেরই চোখ ও নাক থেকে জল বের হওয়ার সমস্যা শুরু হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে কাশি।
আরও পড়ুন-রবীন্দ্রসদনে আজ সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছে গেলেন বিরোধীরা
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি অবধি দিল্লিতে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ। কিন্তু দিল্লির বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকেই শুরু হয় কানফাটানো শব্দে বাজি ফাটানো। এলাকার অনেক অসুস্থ ও প্রবীণ মানুষ ভয়ঙ্কর আওয়াজে অসুস্থ বোধ করেন। যাঁরা বাজি পোড়াচ্ছিলেন তাঁদেরকে এ ব্যাপারে বলা হলেও তাঁরা কোনও কথায় কর্ণপাত করেননি। দিল্লির পাশাপাশি নয়ডা, হরিয়ানার গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদ থেকেও অত্যন্ত জোরালো শব্দের বাজি পোড়ানোর খবর এসেছে। এসবের জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দিল্লির বাতাসের গুণমান খারাপ হতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে তা অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় পৌঁছয়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাজি পোড়ানোর কারণে শুক্রবার রাজধানীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা ৬০০ থেকে ৮০০ মিটারের মতো কমে আসে। সকাল ১০টা পর্যন্ত দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ছিল ঘন কুয়াশা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটা কুয়াশা নয়, বাজির বিষাক্ত ধোঁয়া। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, শুক্রবার রাত ৩টে নাগাদ বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে হয়েছে ৭৭৪.৬৯। যা নির্ধারিত বিপদসীমার থেকে অনেক বেশি। রাত একটা নাগাদ এই সূচকটি পৌঁছে গিয়েছিল এক হাজারের উপরে।