বিজেপির পরিকল্পিত ‘সন্দেশখালি মিশন’ (Sandeshkhali Case) চক্রান্ত ফাঁস। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে ট্যুইট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি ইস্যুতে জানিয়েছে, রাজ্যপাল আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি এই ইস্যুতে একতরফা দৃষ্টিভঙ্গি করবেন না বা শুধুমাত্র বিজেপি নেতাদের কথা শুনবেন না। রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ড প্রসঙ্গে প্রতিনিধিদল জানিয়েছে এটা পক্ষপাতমূলক ও একতরফা। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল অগ্নিমিত্রা পালের অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, বিশেষভাবে অগ্নিমিত্রা পালের অডিওতে পরিষ্কার সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র।
এদিকে অগ্নিমিত্রার অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, “বিজেপি নিয়ন্ত্রিত জাতীয় মহিলা কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Case) পরিদর্শন করেছে এবং কোথাও ধর্ষণের রিপোর্ট নেই৷ পুলিশ সহিংসতার অন্যান্য সমস্ত রিপোর্ট দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর মাঝে বিজেপি নেতারা ভুয়ো প্রচারের মাধ্যমে বিষয়গুলিকে বড় করার চেষ্টা করেছে। একইসঙ্গে ট্যুইটারে অগ্নিমিত্রা পালের অডিও ক্লিপ দিয়ে ট্যুইট করে ‘মারাত্মক’ বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন- জোর ধাক্কা মোদি সরকারের, ‘নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক’ রায় সুপ্রিম কোর্টের
অডিও ক্লিপে জনৈক ব্যক্তিকে অগ্নিমিত্রা পাল বলছেন, সন্দেশখালিতে বিজেপি বিধায়করা যাবে অশান্তি করতে। যেভাবেই হোক সেখানে গন্ডগোল করতে হবে। সেই ঘটনাকে সামনে রেখে আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি করব। তখনই ফোনের ওপার থেকে সেই ব্যক্তি বলেছেন, সন্দেশখালিকে আরও একটা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম বানাতে পারি অশান্তি করে। এর উত্তরে অগ্নিমিত্রা বলছেন, হ্যাঁ সেটা করলেই ভালো হয়। তাতে সুবিধেই হবে। যেভাবেই হোক অশান্তি, গন্ডগোল করতেই হবে ওখানে। এতে বিজেপির অনেক ফায়দা। গত কয়েকদিন ধরে সন্দেশখালিতে তুমুল অশান্তি করছে রাম-বাম। এই অশান্তি যে পরিকল্পিত এখন তা স্পষ্ট। এভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলাকে অশান্ত করতে বিজেপির ঘৃণ্য, ন্যক্কারজনক চক্রান্ত সামনে চলে এল।