প্রতিবেদন : দেবকে ইডির তলব প্রমাণ করে দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আসলে শাসানির জন্য ব্যবহার করছে বিজেপি। যিনি মাথা নত করবেন না, তাঁর ঘরেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে সেন্ট্রাল এজেন্সি। বৃহস্পতিবার বিজেপির এই ভ্রষ্টাচার স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, দেব মাথা নীচু করেননি। জানিয়ে দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই তৃণমূলে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। বৈঠক করেছেন নেত্রীর সঙ্গে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর অবস্থান। জানিয়ে দিয়েছেন, ঘাটাল থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন লোকসভা নির্বাচনে।
আরও পড়ুন-আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক
তার পরেই তাঁর কাছে ইডির নোটিশ। আসলে দেবের উপরে অনেকদিন ধরেই চাপ সৃষ্টি করছিল বিজেপি। দেব যদি তৃণমূল ছাড়তেন কিংবা তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে না দাঁড়াতেন তাহলে এই নোটিশ যেত না তাঁর কাছে। আশ্চর্যের বিষয়, এই দেবকে নিয়ে ক’দিন আগেই কী উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছিল গদ্দারের মধ্যে! সবচেয়ে নিন্দনীয় বিষয়, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেই দেবকে দিল্লিতে তলব করে এই পবিত্র দিনটিকে কলুষিত করতে চেয়েছে বিজেপি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেদিন তাঁর অনেক কর্মসূচি থাকে। সেইসবকে অস্বীকার করে ওই দিনই ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। তৃণমূলের প্রশ্ন, বিজেপির কি বিন্দুমাত্র সাংস্কৃতিক রুচিবোধ বা সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই? তৃণমূল মুখপাত্র মনে করিয়ে দেন, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী, বাবা-মা, এমনকী তাঁর আইনজীবীকেও এইভাবে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তৃণমূলের আরও অনেকের কাছেই গিয়েছিল এই ধরনের নোটিশ। এ-সবই আসলে বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি। লোকসভা নির্বাচনের মুখে এই ধরনের হুমকিবাজির তীব্র নিন্দা করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রের মন্তব্য, গণ নারীনির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে বিজেপি-সিপিএম নেতারা এতদিন চুপ ছিলেন কেন? আসলে বিরোধীরা মিথ্যাচারের ফানুস তৈরি করছে। এদিকে মহুয়া মৈত্রকেও তলব করা হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে ইডির পক্ষ থেকে। অবশ্য মহুয়া এই ধরনের কোনও নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন।