প্রতিবেদন : মোদি- পদবি মামলায় দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ‘খুনি’ মন্তব্য করে আইনি যুদ্ধে জড়ালেন রাহুল গান্ধী। শাহের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্যের জেরে মঙ্গলবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। ৬ বছরের পুরানো এই মামলায় এদিন বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে রাহুলের গ্রেফতারিকে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। বর্তমানে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশেই রয়েছেন রাহুল। সেখানেই পুরনো মামলা দিয়ে তাঁকে হেনস্থা করল বিজেপি রাজ্যের পুলিশ।
আরও পড়ুন-সন্দেশখালিতে বিরোধীদের নাটক, প্ররোচনা; পুলিশকে ‘খালিস্তানি’ বলল গদ্দার, প্রতিবাদে শিখ-ধরনা
২০১৮ সালের ৪ অগাস্ট রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা বিজয় মিশ্র। তাঁর অভিযোগ ছিল, শাহের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন রাহুল। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছিল। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, রাহুল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করেছেন। শাহকে ‘খুনি’ বলে অভিযোগ তুলে রাহুল আক্রমণ করেছেন, যা একেবারেই ঠিক নয়। মামলাকারীর কথায়, আমি বিজেপি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। তাই এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে আদালতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
রাহুলের ন্যায় যাত্রা উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করার পর এই মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও রাহুলের মামলার শুনানিতে ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে কংগ্রেস নেতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আধঘণ্টা পরই জামিন মঞ্জুর হয়ে যায় রাহুলের। উল্লেখ্য, গত বছর মার্চ মাসে গুজরাতের সুরাত আদালত বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদির দায়ের করা মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাবাসের সাজা দেয়। ফলে রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ চলে যায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দেওয়ায় তিনি ফিরে পান সংসদের সদস্যপদ।