মানস দাস, মালদহ: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদহ সফরের পর সরকারি প্রকল্পগুলির কাজে গতি বেড়েছে। এবার চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মালদহে তিনটি হ্যাচারির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। মালদহ জেলার গাজোল ও হরিশচন্দ্রপুর -২ নং ব্লকে হ্যাচারি তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। শুধু তাই নয়, কাজগুলির জন্য মৎস্য দফতরের তরফে ওই দুই উপভোক্তাকে ১০ লক্ষ টাকা করে সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি চাঁচল-১ নং ব্লকে হ্যাচারি তৈরির কাজ এখনও সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়নি। সেই কাজটি জোরকদমে চলছে। কাজটি সম্পন্ন হলেই উৎপাদন শুরু হবে।
আরও পড়ুন-শাহকে ‘খুনি’ বলায় গ্রেফতার রাহুল, আধঘণ্টায় জামিন কোর্টে
তিনটি হ্যাচারি থেকে বছরে মোট ৩০ কোটি মাছের চারা উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী জেলা মৎস্য দফতরের কর্তারা। মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গীয় মৎস্য যোজনার অধীনে জেলায় তিনটি হ্যাচারি তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পের ব্যয় ২৫ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, হ্যাচারিগুলিতে একাধিক ট্যাঙ্ক তৈরি থাকবে। প্রথমে আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের রুই, কাতলা-সহ নানান বড় মাছগুলিকে জলে ছাড়া হবে। তারপর সেখানে তাদের হরমোন ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। ইঞ্জেকশন দেওয়া বড় মাছগুলি থেকে ৬-৭ ঘণ্টা পরে ডিম পাওয়া যাবে। সেই ডিম সংগ্রহ করে ট্যাঙ্কে রাখা হবে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে। সেই বাচ্চাগুলিকে আলাদা করে ছেঁকে তুলে পাশের অন্য ট্যাঙ্কে রাখা হবে। এক বছরে জেলার তিনটি হ্যাচারি থেকে ৩০ কোটি মাছের চারা মিলবে। জেলা মৎস্য দফতরের কর্তা অসীম নন্দী জানান, মার্চ মাসে হ্যাচারিতে মাছ উৎপাদন শুরু হবে। বছরে ৩০ কোটি মাছের চারা উৎপাদন হবে।