প্রতিবেদন : উত্তরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ১৬টি চা বাগানের ১৬ হাজারের বেশি শ্রমিককে আর্থিক সহায়তা দেবে রাজ্য। রাজ্যের শ্রম দফতর এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। উত্তরে বন্ধ চা বাগানের সংখ্যা ১৬টি। এমন বাগানের সংখ্যা বীরপাড়ায় সর্বাধিক, ৬টি। এর বাইরে দার্জিলিংয়ে ৫টি, মালবাজারে ৩টি এবং কার্শিয়াং ও শিলিগুড়িতে ১টি করে বাগান রয়েছে। বন্ধ হওয়ার সময় সেগুলিতে শ্রমিক সংখ্যা ১৬ হাজারেরও বেশি। আইন অনুসারেই বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কথা। কিন্তু চা বাগানের মালিকেরা সেই দায়িত্ব পালন করেননি।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তাই রাজ্যই এবার এগিয়ে এসেছে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা দিতে। এরই পাশাপাশি চা বাগান মালিকদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠছে সেগুলি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে নবান্ন। প্রয়োজনে বাগানের লিজও বাতিল করতে পারে রাজ্য।
মঙ্গলবারই শিলিগুড়িতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি এবং টি অ্যাডভাইজারি কমিটির সঙ্গে দুটি পৃথক বৈঠক করেছেন। শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চা বাগানের মালিকদের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ উঠছে যে তাঁরা বাগানের শ্রমিকদের পিএফ বকেয়া রেখে দিচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি বাগানের চা গাছ উপড়ে অপরিকল্পিতভাবে বাগানের জমিতে রিসর্ট তৈরি করছেন। আর এই সব ঠেকাতেই রাজ্য সরকার চা বাগানের জন্য শীঘ্রই এস ও পি চালু করতে চলেছে। পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের অর্থনীতির অন্যতম মাধ্যম হল চা। ৫ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক জড়িয়ে আছে এই চায়ের অর্থনীতির সঙ্গে। অথচ সেই শ্রমিকদেরই পিএফের কোটি কোটি টাকা বকেয়া রেখে দিচ্ছেন বাগান মালিকেরা। কোথাও কোথাও মালিকপক্ষ আচমকা বাগান বন্ধ করে উধাও হয়ে যাচ্ছেন। বাগানের জমি নিয়েও বেআইনি কারবার চলছে। এই সব দেখেই মুখ্যমন্ত্রী এবার নির্দেশ দিয়েছেন বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লাগাম টানার।