প্রতিবেদন : গদ্দার অধিকারীরা চায় না সাধারণ মানুষ প্রাপ্য বকেয়া পাক। তাই সাধারণ খেটে খাওয়া একশো দিনের গরিব শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচিতেও বাধার সৃষ্টি করে বিজেপি। বিজেপির গুন্ডারা হামলা চালায় নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে। নিগৃহীতা হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। মারধর করা হয় নিগৃহীতার ক্যানসার আক্রান্ত স্বামীকে। তারই প্রতিবাদে বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে গদ্দারদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল নন্দীগ্রাম। নিগৃহীতা মহিলা-সহ নেতা-কর্মীদের নিয়ে ধিক্কার মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি থানা অভিযান করেন। বিজেপি গুন্ডাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন-ভয় পাবেন না, মুখ্যমন্ত্রীর আধার চিঠি বর্ধমানে
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এদিন প্রথমে নন্দীগ্রামে গোকুলনগর সহায়তা কেন্দ্রে যান। যান সামসাবাদ সহায়তা কেন্দ্রেও। তারপর মহিলাদের নিয়ে মিছিল করে থানা চত্বরে অবস্থান করেন। তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। এই আন্দোলনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধায়, চেয়ারম্যান চিত্ত মাইতি, ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, এইচডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান শেখ সুফিয়ান প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি বলেন, বিজেপি মানুষকে হকের টাকা পেতে দিতে চায় না। তাই প্রাপ্য বকেয়া পেতেও বাধার সৃষ্টি করে। নন্দীগ্রামে বিজেপির লোকও শিবিরে আসছে, বিজেপির ঘর ভেঙে যাচ্ছে, তা দেখে ভয় পেয়ে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে বাংলা সহায়তা শিবিরে। বিজেপি আর মানুষকে ধর্মের নাম দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে পারছে না। বিজেপির এই হামলাকে যেভাবে প্রতিহত করেছেন নন্দীগ্রামের মহিলা নেতা-কর্মীরা তা দেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মা-বোনেদের লড়াইকে প্রণাম-সেলাম জানিয়েছেন। নিগ্রহের পরও যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা তাঁদের কুরনিশ জানিয়েছেন তিনি।
বাংলার গরিব মানুষের হকের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। সেই বকেয়া টাকা বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার দেবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাই অঞ্চলে অঞ্চলে সহায়তা কেন্দ্র গড়ে বঞ্চিত গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে তেমনই একটি শিবিরে হামলা চালায় বিজেপি। নিগ্রহ করা হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা নিবেদিতা ভুইঁয়াকে। শ্লীলতাহানি করা হয়, মারধর করে হার ছিনতাই করে নেওয়া হয়। নিগৃহীতার ক্যানসার আক্রান্ত স্বামীকে গলা টিপে ধরা হয়। মারধর করা হয় জয়দেব দাস ও অশোক দাস-সহ অন্যদের। তারই প্রতিবাদে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস বিক্ষোভ সমাবেশ করে। যারা গদ্দার অধিকারীর নামে স্লোগান দিতে দিতে এক মায়ের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে। এরপর নন্দীগ্রাম ব্লক ১ পার্টি অফিসে বৈঠক করে কলকাতায় ফেরেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এদিন তাঁর হাত ধরে একঝাঁক সিপিএমের নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন।