মন্দিরের আয়ে ১০ শতাংশ কর, নয়া বিল ঘিরে উত্তাল কর্নাটক

ভক্তদের দান থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করছে দেশের মন্দিরগুলি। দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকেও রয়েছে জনপ্রিয় একাধিক মন্দির।

Must read

প্রতিবেদন : ভক্তদের দান থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করছে দেশের মন্দিরগুলি। দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকেও রয়েছে জনপ্রিয় একাধিক মন্দির। মন্দিরের আয়ের উপর কর বসাতে বুধবার নয়া বিল এনেছে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটক সরকার। যাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল পরিস্থিতি। নয়া বিল অনুযায়ী, রাজ্যের যেসব মন্দিরের আয় বছরে এক কোটি বা তার বেশি সেই মন্দিরগুলিকে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই বিল প্রমাণ করে দিচ্ছে কংগ্রেস আসলে হিন্দু বিরোধী দল।

আরও পড়ুন-হিরানন্দানির অফিসে ইডি-তল্লাশি

বুধবার কর্নাটক বিধানসভায় পাশ হয়েছে ‘হিন্দু রিলিজিয়াস ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড চ্যারিটেবল এন্ডাওমেন্ট বিল’। যার পরই এক্স হ্যান্ডেলে সরব হন কর্নাটকের বিজেপি সভাপতি বিজয়েন্দ্র ইয়েদুরাপ্পা। তিনি লেখেন, এই বিলের মাধ্যমে কংগ্রেস তাদের শূন্য কোষাগার পূরণ করার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেবল হিন্দু মন্দির থেকেই রাজস্ব সংগ্রহ করা হবে কেন? অন্য ধর্মীয়স্থানগুলি বাদ যাবে কোন যুক্তিতে? এই ঘটনা ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিজেপি নেতা। অবশ্য এই বিল প্রসঙ্গে কর্নাটকের মন্ত্রী রামালিঙ্গা রেড্ডি জানান, ওই করের অর্থ সরকার নেবে না। বরং ‘ধর্মীয় পরিষদে’র কাজেই ব্যবহার করা হবে। আরও জানান, বিজেপিও ক্ষমতায় থাকাকালীন একই কাজ করেছিল। ৫ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা আয় যে সব মন্দিরের, তাদের থেকে ৫ শতাংশ কর নেওয়া হত। ২৫ লক্ষের উপরে আয়ে ১০ শতাংশ কর দিতে হত।

আরও পড়ুন-এগিয়েও হার ইস্টবেঙ্গলের

সিদ্দারামাইয়ার মন্ত্রীর দাবি, সরকার ‘ধর্মীয় পরিষদ’ গড়েছে। সেখানেই যাবে মন্দিরগুলি থেকে প্রাপ্ত অর্থ। ওই পরিষদের উদ্দেশ্য হল আর্থিকভাবে দুর্বল পুরোহিতদের উন্নতি, সি-গ্রেড মন্দিরের উন্নতি এবং দুঃস্থ পুরোহিতদের সন্তানদের শিক্ষা প্রদান করা। মন্দিরের টাকায় এই কাজগুলিই হবে। অবশ্য সরকারের এহেন দাবির পরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না।

Latest article