কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর: ইতিহাসের শহর মুর্শিদাবাদের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে জানা-অজানা ইতিহাস। তবে বেশ কিছু জানা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছিল বহু পুরনো ইতিহাস। এভাবেই ঐতিহ্য হারাতে বসেছিল শহরের কেল্লা নিজামতে প্রবেশের দক্ষিণ দরজার সামনে অবস্থিত ঘণ্টাঘর। সেটি সংস্কার করে এখন পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় নিজে থেকেই মেশিনের সাহায্যে ঘণ্টা বেজে ওঠে এখানে। মুর্শিদাবাদ পুরসভার উদ্যোগে সংস্কারের পর আবার ফিরেছে মানুষের আগ্রহ। ফলে নতুন পর্যটন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ঘণ্টাঘর। এর বিষয়ে লিখিত কোনও ইতিহাস না থাকলেও নবাব পরিবার সূত্রে জানা যায়, উনিশ শতকের প্রথম দিকে অর্থাৎ ১৮১০ বা তার কয়েক বছরের মধ্যেই নবাব আলিজার আমলে এটির নির্মাণ হয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল সৈন্যদের সতর্কীকরণ ও সময় জানানো। অবশেষে পুরসভার উদ্যোগে নতুন করে সেজে উঠেছে এটি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্বোধন করেছেন।
আরও পড়ুন-গুরজুয়ানি নদীর বাঁশের সেতু পাকা হবে ১৫ কোটিতে, মন্ত্রীর উদ্যোগে সাড়া পূর্ত দফতরের
বর্তমানে দক্ষিণ দরজার সামনে অবস্থিত সিরাজদ্দৌলা পার্কে ছিল নবাব জাইনউদ্দিন আলি খান বা নবাব আলিজার প্রাসাদ। সেই প্রাসাদ-সহ কেল্লা চত্বরের প্রবেশদ্বার ছিল এই দক্ষিণ দরজা। আর তার লাগোয়া ঘণ্টাঘরের পাশে ছিল সেনা শিবির। যদিও বর্তমানে সেখানে মানুষের বসবাস শুরু হয়েছে। সেই ক্যাম্পের পাশেই দক্ষিণ দরজা। নবাব আলিজার প্রাসাদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বহুকাল আগেই। তবে অটোমেটিক মেশিনের সাহায্যে ঘণ্টায় ঘণ্টায় সময়ের জানান দেয় ঘণ্টা। কয়েক লক্ষ টাকায় সেই ঘণ্টাঘর পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে ইতিহাসের মুর্শিদাবাদে অবশ্য দ্রষ্টব্য এখন এই ঘণ্টাঘর।