প্রতিবেদন : সন্দেশখালিকে (Sandeshkhali) অশান্ত করার চেষ্টা করলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। শুক্রবার এলাকায় দাঁড়িয়ে ফের কড়া বার্তা দিলেন ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর স্পষ্ট কথা, পুলিশ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালি মামলায় বিচারপতি গদ্দার অধিকারীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। অন্য একটি মামলাতেও হাজিরা না দেওয়ায় একইভাবে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে গদ্দারকে। বিচারপতি বলেন, আদালতে হাজিরা না দিলে মামলা করেন কেন? গদ্দারের আবদার ছিল, সোমবার সন্দেশখালি যাবে। বিচারপতির প্রশ্ন, সোমবারই কেন যেতে হবে? অন্য যে কোনও দিন যাওয়া যেতে পারে। সন্দেশখালিকে উসকানি দিয়ে বিক্ষোভ, হাঙ্গামা, অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে গদ্দার-সহ বিরোধীরা। রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য জলাঞ্জলি দিচ্ছে সবকিছু। তবে রাজ্য সরকার কোনও অবস্থাতেই সন্দেশখালিতে আগুন জ্বালাতে দেবে না।
আরও পড়ুন- হাওড়ায় বিজেপি নেতার কু-কীর্তি গ্রেফতার, ধুইয়ে দিল তৃণমূল
ছন্দে ফেরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শুক্রবার সকালে বেরমজুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতির কাছারিপাড়ার বাড়িতে মিছিল করে এসে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। নেপথ্যে অবশ্যই বিজেপির উসকানি। অজিতবাবুর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় আলাঘরে। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর গাড়িও। অজিত মাইতিকে শারীরিক নিগ্রহের পরে আক্রমণ চালানো হয় তাঁর স্ত্রী এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ের উপরেও। গেরুয়া সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় দলবল নিয়ে সন্দেশখালিতে গন্ডগোল পাকাতে চেষ্টা করলে পুলিশি তৎপরতায় সেই চক্রান্ত ভেস্তে যায়। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ভোজেরহাটে আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। পরে গ্রেফতারও করা হয়। এদিকে এদিনই আবার সন্দেশখালিতে পৌঁছেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর কড়া হুঁশিয়ারি, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কেউ যদি তা করেন তবে তাঁর বিরুদ্ধেই প্রথমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বুঝি, জনরোষের আগুন, নাকি অন্য কোনও কারণে বা উদ্দেশ্যে আগুন লাগানো হচ্ছে, ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। একশ্রেণির সংবাদমাধ্যমের প্রতি তাঁর বক্তব্য, আপনারা সঠিক তথ্য তুলে ধরুন। এর আগে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবারই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন ডিজি। সেখানে একরাত কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ফিরে এসেছিলেন কলকাতায়। তার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার সেখানে পৌঁছে গেলেন তিনি। অজিত মাইতির বাড়িতে হামলার খবর পেয়েই শুক্রবার সেখানে বিশাল বাহিনী নিয়ে ছুটে যান এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আইন সবার জন্য সমান।