প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের অধীনে বিভিন্ন দফতর থাকলেও তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজস্ব বিভাগ। তার আবার বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আছে। এই তালিকায় রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কমার্শিয়াল ট্যাক্স সার্ভিসেস, ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সাইজ় সার্ভিস, ওয়েস্ট বেঙ্গল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড স্ট্যাম্প রেভিনিউ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনকাম ট্যাক্স সার্ভিসেস। এগুলিকে একত্র করে তৈরি হয়েছে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল রেভিনিউ সার্ভিস’।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ মৎস্যজীবীরা
বর্তমানে তারা অর্থ দফতরের এক একটি শাখা অফিস হিসাবে কাজ করে। সেজন্য তারা কোনও স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যে কোনও নতুন পদক্ষেপ করতে গেলে তাদের সব সময়ে অর্থ দফতরের মুখাপেক্ষী থাকতে হয়। রাজস্ব বিভাগে নতুন কর্মী নিয়োগ কিংবা বদলি করতে গেলেও অর্থ দফতরের কাছে ফাইল পাঠাতে হয়। তার ফলে কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তাতে রাজস্ব আদায় ধাক্কা খায়। সেই লাল ফিতের বাঁধন থেকে রাজস্ব বিভাগকে মুক্ত করতেই পৃথক সেল তৈরি করছে রাজ্য সরকার। তারা শুধুমাত্র রাজস্ব আদায়ের কাজ দেখভাল করবে।
আরও পড়ুন-আসানসোলে গুরুদ্বার সিং, সভার স্মারকলিপি ফাঁড়িতে
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি কিংবা তার ঊর্ধ্বতন কোনও অফিসারকে রেভিনিউ সেলের মাথায় বসানো হবে। এছাড়াও ওয়েস্ট বেঙ্গল রেভিনিউ সার্ভিসের দু’জন ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার অফিসার, একজন হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং দু’জন আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেভিনিউ সেলের কাজকর্ম দেখভাল করবেন। অর্থ দফতরের অধীনে থাকলে রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা অনেকটাই স্বাধীনতা ভোগ করবে। তাতে রাজস্ব আদায়ের কাজে গতি আসবে।