প্রতিবেদন : বছরে ১ কোটি টাকার বেশি অনুদান পাওয়া মন্দির এবং অন্যান্য হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ১০ শতাংশ হারে কর (Karnataka’s temple tax bill) দিতে হবে। ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত অনুদানের ক্ষেত্রে করের হার ৫ শতাংশ। সম্প্রতি বিধানসভায় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার কর্ণাটক হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিল পাশ করিয়েছে। কিন্তু এবার বিধান পরিষদে বড় ধাক্কা খেল সিদ্দারামাইয়া সরকার। বিধান পরিষদে বিজেপি-জেডিএস জোটের সদস্যদের বাধায় সেই বিলের ভবিষ্যৎ বড়সড় প্রশ্নের মুখে। এই ইস্যুকে কংগ্রেসের হিন্দুত্ব বিরোধী পদক্ষেপ হিসাবে প্রচার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। যদিও সিদ্দারামাইয়া সরকারের ব্যাখ্যা, রাজ্যের যেসব মন্দিরে কোটি কোটি টাকা অনুদান পড়ে আছে তাদের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হত। কিন্তু হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে রাজনীতি করতে চায় বলেই বাধা দিচ্ছে বিজেপি জোট।
এর আগে কর্নাটক বিধানসভায় এই বিল পাশ করিয়ে কংগ্রেস সরকার জানিয়েছিল, করের (Karnataka’s temple tax bill) টাকা পরে মন্দিরের উন্নতিকল্পেই ব্যবহার করা হবে। করের এক টাকাও নেবে না কেন্দ্র।তবে অঙ্কের হিসাবে আইনসভার উচ্চকক্ষে এগিয়ে ছিল বিরোধী বিজেপি-জেডিএস জোট। বিধান পরিষদে বিজেপির ৩৫ এবং জেডিএসের ৮ জন সদস্য থাকলেও কংগ্রেসের পক্ষে রয়েছেন ৩০ জন। এক জন নির্দল এবং একটি আসন খালি রয়েছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সরকার বিধানসভায় যে বিল পাশ করিয়েছে তাতে বলা হয়েছিল, বছরে ১ কোটি টাকার বেশি অনুদান পাওয়া মন্দির এবং অন্য হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত অনুদানের ক্ষেত্রে করের হার ধার্য করা হয় ৫ শতাংশ। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। লোকসভা ভোটের আগে হিন্দুত্বের ইস্যুকে সামনে রেখে ময়দানে নামে বিজেপি।
আরও পড়ুন-ফের রুশ নজরদারি বিমান ধ্বংস করল ইউক্রেন
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার নাকি হিন্দুবিরোধী। আর সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার পুত্র তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিজয়েন্দ্র বলেছিলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের কংগ্রেস সরকার ধারাবাহিক ভাবে হিন্দুবিরোধী নীতি গ্রহণ করছে। এবার হিন্দু মন্দিরের অনুদানের দিকেও দৃষ্টি দিয়েছে।’’ যদিও বিজেপির সব অভিযোগ উড়িয়ে কর্নাটকের পরিবহণমন্ত্রী রামলিঙ্গ রেড্ডি সাফ জানিয়েছেন, ‘‘করের টাকা সরকার নেবে না। হিন্দু ধর্মস্থানগুলির উন্নয়নে সেই টাকা ব্যবহার করা হবে। আর তা নিয়েই নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি।” তবে লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে হিন্দুত্বে ভর করে বৈতরণী পার করার চেষ্টায় মোদি সরকার। অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন তারই এক মাস্টারস্ট্রোক। কিন্তু ‘হিন্দুবিরোধী’ বিল আটকে আখেরে বিজেপির কোনও লাভের লাভ হয় কি না সেদিকে নজর থাকবেই।