প্রতিবেদন : বিরল রোগ মূলত জেনেটিক বা বংশগত রোগ নিয়ে শহরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা (KMC)। বিরল রোগ কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে শিবির করে এই নিয়ে মানুষকে সচেতন করবে পুরসভা (KMC)। পাশাপাশি থাকবে চিকিৎসা পরিষেবাও। শনিবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, একটা শিশু অন্ধকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আসবে কি না, সেটা আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে। বিরল রোগ মূলত জেনেটিক ডিসঅর্ডার। এই ধরনের রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কলকাতা পুরসভার তরফে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ক্যাম্প করা হবে। প্রশিক্ষিণপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ ও আশাকর্মীরা সেই চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ডেপুটি মেয়র আরও বলেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এবং কাশীপুরে প্রাথমিকভাবে একটি করে ক্যাম্প করা হয়েছে। আমরা প্রথমে বিরল রোগ নিয়ে সমীক্ষা ও পরীক্ষা শুরু করব। তারপর ১৪৪টি ওয়ার্ডে সচেতনতা প্রচার করা হবে। সরাসরি আমরা সাসপেক্ট ওয়ার্ডগুলিকে চিহ্নিত করব। যেখানে প্রায় ৭০০ জন আশাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ১০টি ওয়ার্ডে ক্যাম্প শুরু হবে কিন্তু সমস্ত ওয়ার্ডের আশাকর্মীদের প্রশিক্ষিত করা হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পারিবারিক এবং সামাজিক কল্যাণে একটা নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে মত ডেপুটি মেয়রের। পুরসভার স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা ডাঃ টি কে মুখোপাধ্যায় জানান, বিরল রোগে অনেক শিশুর মৃত্যু হয়। অনেকক্ষেত্রে বিরল রোগকে তেমন গুরুত্বও দেওয়া হয় না। এই রোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর এই উদ্যোগ একমাত্র কলকাতা পুরসভাই নিয়েছে। বিরল রোগে আক্রান্তদের নিয়ে রবিবার সকালে পুরসভার তরফে একটি ম্যারাথনেরও আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন- প্রধান প্রবেশপথে বসেছে আন্ডার ভেহিকেল স্ক্যানিং সিস্টেম, নবান্নের নিরাপত্তায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি