প্রতিবেদন : বন্দিমুক্তির শর্ত মেনে যেদিন তাঁর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল, তার ঠিক আগের দিনই গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে আলেক্সি নাভালনির (Alexei Navalny) মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে ক্রেমলিন৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর বিরোধী ও দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিরোধী নেতা নাভালনির মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল তখনই৷ নাভালনির পরিবার তো বটেই, ইউরোপ ও আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধানরাও তাঁর রহস্যমৃত্যুর পিছনে পুতিনের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে বলে প্রতিবাদে সোচ্চার হন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্পষ্ট জানান, এই ঘটনা তাঁর কাছে অপ্রত্যাশিত নয়৷ নাভালনির হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী পুতিনই৷ জেল কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বললেও রাশিয়ার ভিতরে এবং বহির্বিশ্বেও এই মতই উঠে এসেছে, পরিকল্পনা করেই নিজের পথের কাঁটা সরিয়েছেন পুতিন৷
আরও পড়ুন- নির্বাচনী বন্ড বড় কেলেঙ্কারি, বিজেপিকে বিঁধলেন নোবেলজয়ী
এবার এই রহস্যমৃত্যু নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন নাভালনির ঘনিষ্ঠ তথা রুশ প্রশাসনের খুঁটিনাটি তথ্য সম্পর্কে অবগত মারিয়া পেভচিখ৷ ইউটিউবে তাঁর দাবি, জার্মানির সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণের চুক্তি হয় রাশিয়ার৷ সেখানে ঠিক হয়, জার্মানির জেলে বন্দি রুশ গুপ্তচর বাহিনীর কর্তা ভাদিম ক্রাসিকভকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে রুশ জেলে বন্দি আলেক্সি নাভালনি ও আরও দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেবে ক্রেমলিন৷ এই বন্দিমুক্তি নিয়ে অবগত ছিলেন পুতিনও৷ তিনি এতে মতও দেন৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে নাভালনির ছাড়া পেয়ে যাওয়ার বিষয়টি হজম হয়নি তাঁর৷ কারণ তিনি জানতেন, রাশিয়ায় জনপ্রিয়তার নিরিখে নাভালনির ধারেকাছে নেই কেউ৷ তাঁকে বাঁচিয়ে রাখা বিপজ্জনক৷ তাই মুক্তির আগের দিনই গোটা দুনিয়া জানল নাভালনি (Alexei Navalny) মৃত৷