প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী বাংলা সফরে ফাঁকা মাঠের ফ্লপ-শোয়ে এসে তৃণমূলের একের পর এক প্রশ্নে ক্ষতবিক্ষত হলেন। শুক্রবার দলের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়। হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয়, ‘আয়ে হো তো বতাকে যাও’। বাংলায় যখন এসেই পড়েছেন তখন এই ন্যায্য প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়ে যান। এদিন সকাল থেকে দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন করেছেন, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা, আবাস যোজনার বকেয়া টাকা কবে পাব? আপনার প্রতিশ্রুতির ১৫ লক্ষ টাকা কবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসবে? এর পরে প্রশ্ন ছিল— মণিপুর যখন জ্বলছিল, মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছিলেন আপনার বিবেক কি ঘুমিয়ে ছিল? কোথায় ছিলেন তখন আপনি? বেছে বেছে মহিলা উন্নয়ন আর তাঁদের নিয়ে ভাবনা হয় আপনার? দেশের মহিলারা কি আপনার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার হাতিয়ার? রাজ্য বুঝে আপনার বিবেক জাগ্রত হয়? কিন্তু কেন? এরকম একাধিক প্রশ্ন যা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) গত কয়েক বছর ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে তুলছে, সেই প্রশ্নগুলিই এদিন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এদিন আরামবাগে প্রধানমন্ত্রীর সভায় তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। বিজেপির রাজ্য নেতারা মুখ বাঁচাতে প্রচুর কসরত করলেও সেই উৎসাহ-উদ্দীপনা-উচ্ছ্বাস কোনওটাই সভায় ছিল না। তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) আক্রমণ করতে হবে বলেই কয়েকটি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর ভাষণেও সেই ঝাঁজ ছিল না একেবারেই। বিষয়টি একরকম ম্যাড়মেড়ে হয়ে দাঁড়ায়।