প্রতিবেদন : রক্তাক্ত, ক্ষুধার্ত গাজা। দিনকয়েক আগেই ক্ষুধাকাতর মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় ইজরায়েলি সেনা। প্রাণ হারায় গাজার শতাধিক বুভুক্ষু মানুষ। ইজরায়েলের এই মানবতাবিরোধী নির্মমতা দেখে স্তম্ভিত বিশ্ব। যুদ্ধবিরতির চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দিল ইজরায়েলের বন্ধু দেশ আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজার বিপন্নদের ত্রাণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মতো শনিবার বিকেলে আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রথমবার আকাশপথে গাজায় পৌঁছে দেওয়া হল ত্রাণ। তিনটি মালবাহী বিমানে প্রায় ৩৮ হাজার খাবারের প্যাকেট এয়ারড্রপ করা হয়। সেই ত্রাণ নিতে গাজার সমুদ্র সৈকতে কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হন।
আরও পড়ুন-আসন নেই, প্রার্থী আছে, অসমের তালিকায় অজস্র ভুল, বিপাকে বিজেপি
ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হলেও বারবার ইজরায়েলের বোমায় কেঁপে উঠছে গাজা। এমনকী ত্রাণের জন্য সারবদ্ধভাবে অপেক্ষা করা সাধারণ প্যালেস্টিনীয়দের ওপরও নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে গাজার মানুষ। হাসপাতাল, স্কুলে বোমাবর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। সাধারণ মানুষকে খাবারের অভাবে মেরে ফেলার পরিকল্পনাতেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে গাজাকে, এমন অভিযোগও ওঠে। যদিও সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইজরায়েল। তবে গাজায় আটকে পড়া মানুষ ও সাধারণ বাসিন্দাদের পাশে মানবিক কারণেই থাকার বার্তা দিয়েছিল আমেরিকা। উত্তর গাজার মানুষ এখন খাবারের অভাবে কাতর। তাই প্রতিশ্রুতিমতো শনিবার উত্তর গাজায় খাবার এয়ারড্রপ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। আমেরিকাকে এই এয়ারড্রপে সাহায্য করে জর্ডন এয়ারফোর্স। মূলত যেসব এলাকায় গাজার সাধারণ বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয় বেছে নিয়ে বেশি সংখ্যায় রয়েছেন, সেখানে খাবার দেওয়া হয়। গাজার ক্ষুধার্ত মানুষ প্যারাশুট লক্ষ্য করে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। হামাস নির্মূল করার ডাক দিয়ে এখন গাজার বুভুক্ষু মানুষের উপর অত্যাচার করার অভিযোগ উঠছে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে।