প্রতিবেদন : সেই রক্ষণের ভুল! ওড়িশা ম্যাচের পর আবার হার। টানা পাঁচ ম্যাচ জিততে না পারা এফসি গোয়ার কাছে হেরে আইএসএলে প্লে-অফের রাস্তা আরও কঠিন করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। গোয়ার কাছে ০-১ গোলে হার লাল-হলুদের (Goa vs East Bengal)। বলা ভাল, গোয়াকে জয়ে ফেরাল ইস্টবেঙ্গল। নোয়া সাদাওয়ির গোলে জয়ে ফিরল ম্যানুয়েল রোকার দল। মরক্কোর ফুটবলার একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে লাল-হলুদের লজ্জা আরও বাড়ত।
মাণ্ডবী নদীর তীরে গোয়ার বিরুদ্ধে সেভাবে গোলের সুযোগই তৈরি করতে পারেনি কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। ক্লেটন সিলভা, নাওরেম মহেশরা গোয়ার রক্ষণকে বিব্রতই করতে পারেননি। মাঝমাঠে ভিক্টর ভাসকুয়েজ, সৌভিক চক্রবর্তীরাও বিবর্ণ ছিলেন। রক্ষণে প্রচুর ভুলভ্রান্তি। অষ্টম হারে ১৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরেই থাকল ইস্টবেঙ্গল। ৩২ পয়েন্ট নিয়ে চারেই গোয়া (Goa vs East Bengal)।
কার্ড সমস্যা কাটিয়ে হিজাজি মাহের এদিন প্রথম একাদশে ফেরেন। হিজাজি ফিরলেও রক্ষণের ফাঁকফোকর ভরাট করা যায়নি। শেষ পাঁচ ম্যাচে জয়ের মুখ না দেখা গোয়া ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। ইস্টবেঙ্গল কোচ ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন। কিন্তু শুরু থেকে নোয়া, কার্লোস মার্টিনেজরা ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে চাপে রাখেন আক্রমণে ঝড় তুলে।
আরও পড়ুন- বিজেপি-ওয়াশিং মেশিন নিয়ে তাপসকে কটাক্ষ অভিষেকের
প্রথমার্ধের শুরুর দিকেই দুটো সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে গোয়া। দু’টি ক্ষেত্রেই বিপক্ষ গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি মরক্কোর স্ট্রাইকার নোয়া। ১২ মিনিটে নোয়া ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ভেদ করে বক্সে ঢুকে যে শটটি নেন, সেটি লাল-হলুদের গোলকিপার প্রভসুখন পা দিয়ে সেভ করে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। পরের মিনিটেই বোরহা হেরেরার নিচু ক্রস থেকে ফাঁকা জালে বল জড়াতে পারেননি নোয়া।
প্রতি-আক্রমণে কয়েকবার ক্লেটন, নন্দরা গোয়ার রক্ষণে হানা দিলেও সেভাবে গোলমুখ খুলতি পারেননি। মাঝমাঠে সৌভিক, ভাসকুয়েজরা বল ধরে খেলার সুযোগ পাননি। ফলে রক্ষণে চাপ বেড়েছে। বিরতির আগেই এগিয়ে যায় গোয়া। শুরুতে জোড়া সুযোগ নষ্ট করা সেই নোয়াই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। বাঁ প্রান্ত থেকে ইয়াসির দুর্দান্ত ডিফেন্স চেরা থ্রু বাড়িয়েছিলেন নোয়ার উদ্দেশে। তা থেকে জোরাল শটে গোল করেন নোয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল কোচ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। মহম্মদ রাকিপ, ভ্যান্সপল, মন্দার রাও, ফেলিসিও ব্রাউনদের নামিয়ে দেন নিশু কুমার, ভাসকুয়েজ, বিষ্ণু, সৌভিকদের তুলে। কিন্তু লাল-হলুদের খেলায় সেই ঝাঁজ ছিল না। মহেশ, ক্লেটনরা সেভাবে গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেননি। বরং গোয়া অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করে। নোয়া, মার্টিনেজ, ব্রেন্ডনরা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ইস্টবেঙ্গলের লজ্জা আরও বাড়ত।