নয়াদিল্লি : ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নোট বাতিলের সর্বনাশা পরিণাম চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির এই খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত দেশের আর্থিক ভিতকে দুর্বল করে দেবে। দেশের সমূহ বিপদ ডেকে আনবে এই হঠকারী সিদ্ধান্ত। পাঁচ বছর আগে নেত্রী যে ঠিক কথাই বলেছিলেন সেটা আজ গোটা দেশ বুঝতে পারছে। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ট্যুইট করে এই কথা বলেছেন।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হঠাৎই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। সেই সিদ্ধান্তের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই ট্যুইট করেছেন ডেরেক। পাশাপাশি ওই দিন রাতে করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঁচটি ট্যুইটের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন ডেরেক। এদিন এই তৃণমূল সাংসদ তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, মোদি নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করার কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ট্যুইট করেন। প্রথম ট্যুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘অবিলম্বে এই কঠোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে দেশের আর্থিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে’।
আরও পড়ুন : এ মাসেই পুরভোটের নির্ঘণ্ট
পরবর্তী ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেছিলেন নেত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘নিজের ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দেওয়ার নাটক করছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ তিনি নির্বাচনের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে পারেননি।” বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নোটবন্দিকে ‘একটি আর্থিক বিশৃঙ্খলা’ বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, “দেশের সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হল এক বড়সড় বিপর্যয়।” দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নেত্রী বলেছিলেন, “আমিও কালো টাকা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কিন্তু আমি এটা ভেবে উদ্বিগ্ন যে, আগামিকাল সাধারণ মানুষ কীভাবে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনবেন।”