প্রতিবেদন : অন্নদাতাদের রুখতে দমননীতিই হাতিয়ার মোদি সরকারের। কিছুদিনের বিরতির পর কৃষক আন্দোলনের (Farmers Agitation) পারদ ফের চড়ল বুধবার। আর তা রুখতে এদিন সকাল থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ল কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার। বিজেপি শাসিত হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশে গ্রেফতার করা হল দিল্লিমুখী কৃষকদের। এর পাশাপাশি কৃষকদের প্রচার আটকাতে শতাধিক কৃষকনেতার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হল কেন্দ্রের তরফে। সারাদেশের কৃষকদের নিয়ে সংগঠিত করতে চলা আন্দোলন এর ফলে দুই বা তিনদিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কৃষক আন্দোলনের সংগঠনগুলি। অন্নদাতাদের রুখতে ফের বাড়ানো হল রাজধানীর নিরাপত্তা। হরিয়ানা-দিল্লি সীমানা দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হল।
আরও পড়ুন-দু’ঘণ্টা বন্ধ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম: প্রায় ২৫ হাজার কোটি আর্থিক ক্ষতি মেটার
বুধবার সকাল থেকে দিল্লির দিকে পুরো শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছিল কৃষকদের (Farmers Agitation) দুটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সেই সঙ্গে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং দক্ষিণ ভারতের কেরল, তামিলনাড়ু থেকেও কৃষকদের সেই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। বুধবার সকালে রাজস্থানের কোটা, বুঁদি এলাকা থেকে রওনা দেওয়া কৃষকদের দলকে সোয়াই মাধোপুরে আটকে দেয় রাজস্থান পুলিশ। দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে রওনা দেওয়া কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিহারের দিক থেকে আসা কৃষকদরেও আটক দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে দিল্লির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে তাদের আরও দু-একদিন সময় লাগবে বলে জানান কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব। তার আগেই সতর্ক দিল্লি পুলিশ। শম্ভু, সিংঙ্ঘু, খানোরি এবং টিকরি সীমানাতে কড়া পাহারা আরও বাড়ানো হয়েছে। দিল্লি স্টেশন, মেট্রো স্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ডগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কৃষকদের দাবি, পুলিশ ট্রাক্টর নিয়ে এগিয়ে যেতে বাধা দিলে রেল-সড়ক যে কোনও পথে দিল্লি প্রবেশ করবেন তাঁরা। অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরাও যে কোনও পথে দিল্লিতে আসতে পারেন। সবার লক্ষ্যই এখন রাজধানীর যন্তর মন্তর।