গতবছর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ইউকোর (UCO) বেশ কিছু গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ভুল করে টাকা ঢুকেছিল। ইমিডিয়েট পেমেন্ট সিস্টেম বা আইএমপিএস-এ ভুল থাকার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। মোট ৮২০ কোটি টাকা ভুল করে অন্যের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ টাকাই ব্যাঙ্ক খুব তাড়াতাড়ি ফেরাতে সক্ষম হয়। তবে প্রায় ১৭১ কোটি টাকা নাকি ফেরাতে অক্ষম হয় ইউকো। এই অবস্থায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় ইউকোর তরফ থেকে। ব্যাঙ্কটি কলকাতার বলেই কলকাতা পুলিশেই এফআইআর করা হয়েছিল। সম্প্রতি জয়পুর, জালোর, যোধপুর, নাগৌর, বারমের, ফালোদি ও পুণেতে তল্লাশি অভিযান চালায় তদন্তকারীরা। অভিযানের সময় ইউকো এবং আইডিএফসি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ১৩০টি নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এছাড়া তদন্তকারীরা ৪০টি ফোন, দু’টি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেন। প্রায় ৩০ জন সন্দেহভাজনকে জেরা করা হয় এই মামলায়।
আরও পড়ুন-জনগর্জনে উঠবে তৃণমূল ঝড়
গতবছর শেয়ার বাজারে জমা দেওয়া এক ফাইংলিংয়ে ইউকো ব্যাঙ্ক জানায় ভুল করে ‘গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ভুল ভাবে’ ক্রডিট হয়েছে ৮২০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক ৬৪৯ কোটি টাকা ফেরাতে পারে। যা এই মোট অঙ্কের প্রায় ৭৯ শতাংশ। প্রায় ১৭১ কোটি টাকা ভুল অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ইউকো এদিকে এই ঘটনার পরই ইমিডিয়েট পেমেন্ট সিস্টেম বা আইএমপিএস স্থগিত করে। শেয়ার বাজারের এক ফাইলিংয়ে ইউকোর তরফে জানা যায় অন্য কোনও ব্যাঙ্কের গ্রাহক ইউকো ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের আইএমপিএস-এর মাধ্যমে টাকা পাঠালে সেই লেনদেন বাতিল হয়ে গিয়েছে । তবে যে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছিল, তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা দিব্যি ঢুকছিল। আবার যে টাকা পাঠাচ্ছে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটলেও ফিরে যাচ্ছিল। অর্থাৎ একই টাকা দু’বার দু’জনের অ্যাকাউন্টে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
গতবছর ১০ থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে এই সমস্যা শুরু হয়। তখন আইএমপিএস ট্রান্সফার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেই ১৩ জন ইউকো আধিকারিকদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। কলকাতা এবং ম্যাঙ্গালুরুতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।