প্রতিবেদন : বাংলা আজ ব্রিগেডমুখী। কলকাতার সব রাস্তা আজ শেষ হবে ব্রিগেডে গিয়ে। আজ, রবিবার জনগর্জনের ব্রিগেড। প্রতিবাদের- প্রতিরোধের ব্রিগেড। এই জনগর্জন বাংলা মনে রাখবে দীর্ঘকাল। সবদিক থেকেই এই ব্রিগেড হতে চলেছে বৃহত্তম ও ঐতিহাসিক। এই মঞ্চ থেকেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেবেন লোকসভার লড়াইয়ের। শনিবার একাধিক ভিডিও প্রকাশ করেছে দল। যেখানে অভিষেক বলেছেন, বাংলা থেকে দেশ থেকে জমিদারদের হঠাতে হবে। বাংলার মানুষ আজ ব্রিগেডে এই আওয়াজ তুলবেন। লক্ষ কণ্ঠে গর্জন হবে— বাংলায় বহিরাগতদের কোনও জায়গা নেই।
আরও পড়ুন-বিধায়কের পর দলত্যাগ সাংসদেরও, বিজেপিতে বিরাট ভাঙন জঙ্গলমহলে
দেশ থেকে বিজেপিকে হঠাতে আজ ব্রিগেড থেকে সর্বাত্মক লড়াইয়ের ডাক দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। মহানগর তিলোত্তমা এখন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের স্লোগানে মুখরিত। শুক্রবার থেকেই শহরে এসে পড়েছেন কর্মী-সমর্থকরা। ইকো পার্ক, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর এবং উত্তীর্ণতে তাঁদের থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে দল। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম— উৎসাহ-উদ্দীপনায় টগবগ করে ফুটছে জনগণের জন্য। মঞ্চ প্রস্তুত। তাক লাগানো র্যাম্প সহযোগে মঞ্চে থাকবে একাধিক চমক। আজ জনসমুদ্রে পরিণত হবে জনগর্জন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
গত কয়েকদিন ধরে অভিষেক টানা শহর চষে ফেলছেন জেলা থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত কতটা কী হচ্ছে তার তদারকিতে। দফায় দফায় ব্রিগেডে আসছেন। ঘুরে দেখছেন গোটা মাঠ। যে অভিনব মঞ্চ ও র্যাম্প তৈরি করা হয়েছে এই সভাকে কেন্দ্র করে তা আগে দেখেনি কেউ। দেশের কোথাও কোনও জনসভায় এই ধরনের র্যাম্প করে একেবারে জনতার মাঝে গিয়ে দাঁড়ানোর ভাবনা এর আগে কোনও রাজনৈতিক দল ভাবতে পারেনি। মূল মঞ্চ থেকে প্রায় ব্রিগেডের মাঝ-বরাবর চলে গিয়েছে র্যাম্প। যেখানে দাঁড়ালে গোটা মাঠ জুড়ে যে-যেখানেই থাকুন না কেন, সকলেই তাঁদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহজে দেখতে পাবেন। ৩৩০ মিটার লম্বা এই র্যাম্প দেখে বিস্ময়ে তাক লাগছে সকলের। শুধু সামনের দিকে নয়, মঞ্চের দু’দিকেও একই রকমভাবে র্যাম্প তৈরি করা রয়েছে। আজ বিকেলেও পুরোটা ঘুরে দেখলেন অভিষেক। দিলেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ। শুক্রবার থেকেই শহরে কর্মী-সমর্থকেরা আসতে শুরু করেছেন। শিয়ালদহ, হাওড়ায় একটার পর একটা ট্রেনে বোঝাই হয়ে এসেছেন তাঁরা। আজ সকালে বাসে, সাধারণ ট্রেনে, জলপথে, গাড়িতে কাতারে কাতারে মানুষ আসবেন শহরে- ব্রিগেডে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল পৌঁছবে ব্রিগেডে। সজাগ কলকাতা পুলিশ। নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে ব্রিগেডের।
আরও পড়ুন-বাংলার বিরুদ্ধে ‘চক্রান্তে’ না, পদত্যাগে বাধ্য করা হল নির্বাচন কমিশনারকে!
বাংলার প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠবে লক্ষ কণ্ঠ। এই ব্রিগেড থেকেই জনতা শপথ নেবে দেশ থেকে বিজেপিকে হঠানোর। গায়ের জোরে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে যে দমিয়ে রাখা যাবে না তা বুঝিয়ে দিয়েছে দল। আগামিকাল এই ঐতিহাসিক ব্রিগেড জানান দেবে, বাংলা তাদের ঘরের মেয়েকেই চায়। বাংলা তৃণমূলকেই চায়। এই বাংলায় কোনও বিভেদকামী শক্তির কোনও জায়গা নেই। গোটা শহর এখন জোড়া ফুলের পতাকায় মুড়ে রয়েছে। দিকে দিকে স্লোগান উঠছে— ‘পায়ে পায়ে উড়িয়ে ধুলো, আজ রবিবার ব্রিগেড চলো’।