প্রতিবেদন : লজ্জা! গুজরাত প্রশাসনের নিজের দেওয়া তথ্যই বলছে এক বছরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২,২০৯টি। গণধর্ষণ ৩৬টি। প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে নারী নিরাপত্তার হিসাব পেশ করে বিজেপি সরকারের দাবি, এটা নাকি ১ শতাংশ কমার পরের হিসাব। যে প্রধানমন্ত্রী ৬ মার্চ বাংলায় এসে সন্দেশখালিকে দেশের আন্দোলনের মুখ করতে চেয়েছিলেন, তাঁর নিজের রাজ্যেই এই হাল! সন্দেশখালির জন্য ‘প্রাণ কেঁদে ওঠা’ প্রধানমন্ত্রীকে একবারও কেন আহমেদাবাদ বা সুরাতের নির্যাতিতা নারীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন উঠছে। খোদ বিজেপির প্রশাসনই তথ্য পেশ করে স্বীকার করছে নারী নিরাপত্তার ভয়ঙ্কর ছবিটা।
আরও পড়ুন-জনতার বজ্রনির্ঘোষে জবাব আজ বিজেপিকে
গুজরাত সরকার রাজ্যের এক বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে যে তথ্য পেশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২০-২১ সালে গোটা রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২০১৬টি, গণধর্ষণ ২৭টি। সেই সংখ্যা ২০২১-২২ সালে বেড়ে যায়। ধর্ষণের সংখ্যা ২,২২৯ ও গণধর্ষণ ৩২টি। গুজরাত সরকারের দাবি, ২০২২-২০২৩ সালে সেই অপরাধের পরিমাণ ১ শতাংশ কমেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নারীর প্রতি অপরাধের অধিকাংশই হচ্ছে দুই শহর আহমেদাবাদ ও সুরাতে। ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ২৭ শতাংশ এই দুই শহরের। ৩৬টি গণধর্ষণের ঘটনার ২২টি হয়েছে আহমেদাবাদ, সুরাট, জামনগর, বনসকণ্ঠ ও মেহসানা শহরে। এমনকি পুলিশি তৎপরতাও এত কম যে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ১৯৬ জনের খোঁজ এখনও পায়নি গুজরাত পুলিশ।