প্রতিবেদন : প্যারট ফিভার। নয়া রোগের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে সিটাকোসিস বা প্যারট ফিভার নামের রোগের সংক্রমণ বাড়ছে। ২০২৪ সাল শুরুর পর থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই রোগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই এই রোগ নিয়ে মানুষকে সতর্ক করল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। ২০২৩ সালে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, সুইডেন, জার্মানির মতো দেশে প্যারট ফিভারের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। নামেই বোঝা যায় পাখিদের থেকে রোগের সংক্রমণ। বিভিন্ন ধরনের পাখি যেমন, বন্য, গৃহপালিত এবং খামারজাত বা পোল্ট্রি পাখির মাধ্যমে প্যারট ফিভার ছড়িয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া বাহিত এই রোগে আক্রান্ত পাখির মধ্যে আপাতভাবে রোগের কোনও লক্ষণ দেখা না গেলেও তারা রোগ ছড়াতে সক্ষম হয়। রোগাক্রান্ত পাখির দেহরসের অংশ শ্বাসবাহিত হয়ে এই রোগ ছড়াতে পারে। রোগগ্রস্ত পাখির কামড়ে অথবা আক্রান্ত পাখির ঠোঁটে সরাসরি চুম্বন থেকেও এই রোগ ছড়ায়। তবে রোগগ্রস্ত পাখির মাংস খেলে এই রোগ ছড়ায় না।
আরও পড়ুন-মুইজ্জুকে বিঁধে ক্ষমাপ্রার্থী নাশিদ
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, এক মানুষ থেকে অন্য মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা এখনও দেখা যায়নি। এই রোগে আক্রান্ত হলে ৫ থেকে ১৪ দিন পরেও রোগের উপসর্গ দেখা যেতে পারে। মূলত মাথাব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণা, শুকনো কাশি, জ্বর ও প্রবল শীত অনুভূত হয়। ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলিতে ৬৬ জন প্যারট ফিভার আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এই রোগ যাতে দ্রুত না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।