সুনীতা সিং, কাটোয়া: পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রে একেবারে আনকোরা মুখ আনা হবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি দলের অনেকেই। রবিবার ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ডাঃ শর্মিলা সরকারের নাম ঘোষণা হতেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে যায়। সমাজমাধ্যমে ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হতে থাকে। প্রথমবার ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়ে দলীয় নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জেতার ব্যাপারে একশো ভাগ নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন শর্মিলা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর শর্মিলা থাকেন দমদমে। আদি বাড়ি কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ হাসপাতাল পাড়ায়। জন্ম ১৯৭৯-র জানুয়ারিতে।
আরও পড়ুন-বিজেপির ফের সেই প্রতিহিংসার রাজনীতি, বিহারে গ্রেফতার লালু-ঘনিষ্ঠ
পাঁচ বোন ও এক ভাই। বাবা অগ্রদ্বীপ বাজারে সবজিবিক্রেতা ছিলেন। অভাবের সংসারেই বেড়ে ওঠা। অগ্রদ্বীপ ইউনিয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে মাধ্যমিক। কাটোয়া কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক। পরে মনোরোগ নিয়ে পড়াশোনা। স্বামী সুদীপ ঘোষ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। এক মেয়ে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। শর্মিলার দিদি জয়া সরকার মজুমদার কাটোয়ার গাজিপুর পঞ্চায়েতে ১৯৯৮ ও ২০১৩ সালে প্রধান ছিলেন। জামাইবাবু সুব্রত মজুমদার দীর্ঘদিন কাটোয়া-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি। কাটোয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন। শর্মিলা বলেন, এতদিন মনোরোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে দেখেছি সমাজসেবা করাটা খুবই প্রয়োজন। তাই একটা ভাল প্ল্যাটফর্ম খুঁজছিলাম। তৃণমূল আমাকে প্রার্থী করে সমাজসেবার সুযোগ দেওয়ায় কৃতজ্ঞ। শিগগিরই প্রচারে নামব।