দেবনীল সাহা: দুর্ঘটনায় বাদ গিয়েছে দুই পা। তবুও প্রতিবার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেডে আসেন বারাসতের ওয়াসিম আখতার। বিশেষ ট্রাই-সাইকেলে করে একাই ব্রিগেডে আসেন শুধুমাত্র নেত্রীর কথা শুনতে, দূর থেকে নেত্রীকে দেখতে। বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায় কোনও কাজ জোটেনি ওয়াসিমের। দুই ভাই কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের কাজ করতেন। কিন্তু কেন্দ্রের ফরমানে বাংলায় সেই কাজ বন্ধ হওয়ার পর তাঁরাও প্রায় বেকার। তাই সংসার চালানোই দায়। তাও ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হলেই মনের জোরকে সঙ্গী করে ওয়াসিম চলে আসেন একাই।
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক নেতার হাতে ধ.র্ষণ, থানায় অভিযোগ নাবালিকার
রবিবার ব্রিগেডের ময়দানে তিনি জানালেন, ভগবানও চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতুন, তৃণমূল কংগ্রেস জিতুক। কে আটকাবে? রবিবাসরীয় ব্রিগেডে তৃণমূল কংগ্রেসের ঐতিহাসিক জনগর্জন সভায় ধরা পড়ল এরকমই হাজারো মুহূর্ত। এদিন উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে লাখো মানুষ ভিড় জমান ব্রিগেডের ময়দানে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা রঙিন সাজে সেজে ছুটে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। মুখে একটাই নাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই একজন নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাস। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় ৪২-এ ৪২ পাবে তৃণমূল। কেন্দ্র যেভাবে বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করেছে, তাতে বিজেপি একটাও আসন পাবে না। কেন্দ্র না দিলেও মুখ্যমন্ত্রী আমাদের একশো দিনের টাকা দিয়েছেন। দলনেত্রীর নেতৃত্বে দিল্লিতে যাবে তৃণমূল, এটাই লক্ষ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর পূর্ণ আস্থা আছে। সেই জন্যই তো বাংলার প্রতিটি জেলার এত লক্ষ লক্ষ মানুষ লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর কথা শুনতে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলা-বিরোধী বিজেপি এই রাজ্যে একটাও ভোট পাবে না। কারণ, বাঙালিদের ওরা সহ্য করতে পারে না। তাই বাংলার মানুষও তাঁদের আসন্ন নির্বাচনে অলআউট করে দেবে।]