প্রতিবেদন : খাদ্যের হাহাকার। কার্যত নরকযন্ত্রণা গাজা জুড়ে। ইজরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে অসহায়, বিপন্ন, ক্ষুধার্ত মানুষের উপর চলছে গুলি-বোমার আক্রমণ। ত্রাণ নিতে এসে বহু মানুষ বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন। মঙ্গলবার রমজান মাসের শুরুতেই ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হল গাজার বহু শরণার্থীর। আগেও ত্রাণ নিতে আসা প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। বিভিন্ন দেশ থেকে পাঠানো ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০ শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে, দাবি গাজার প্রশাসনের।
আরও পড়ুন-শেয়ার বাজারে বিরাট পতন, ১৪ লক্ষ কোটি ক্ষতি বিনিয়োগকারীদের
রমজান মাসের শুরুর দিন উত্তর গাজার একটি ছোট এলাকায় ত্রাণ নিতে ভিড় জমান বহু ক্ষুধার্ত শরণার্থী। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় এলাকার আশেপাশে থাকা ইজরায়েলি ট্যাঙ্কারগুলি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অন্তত ১২ জনের। গুরুতরভাবে আহত অনেকে। গাজার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এর পাশাপাশি ইজরায়েলের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। হামলার জেরে আহত হয়েছেন ১২৯ জন। এর ফলে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ১৮৪ জনের। আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার মানুষ। অন্যদিকে, এরই মধ্যে আমেরিকার এক নাগরিকের নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে সে-দেশের বাহিনী। জানা গিয়েছে, তিনি ইজরায়েলের নাগরিক ও ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। ওই সেনাকর্মীর নাম আইটে চেন। তাঁকে গত ৭ অক্টোবর অপহরণ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ইজরায়েল সরকার তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। যুদ্ধবিধ্বস্থ গাজায় সাধারণ মানুষের প্রাণসঙ্কট নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কখনও আর্জি জানিয়ে, আবার কখনও হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলকে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাতে নিষেধ করেন। কিন্তু বাইডেনের সেই সতর্কবাণীকেও পাত্তা দিচ্ছেন না ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।