গুজরাট ইউনিভার্সিটি (Gujrat University) হোস্টেলে থাকা আফগানিস্তান এবং উজবেকিস্তানের বিদেশী ছাত্ররা হোস্টেল ক্যাম্পাসে নামাজ পড়ার জন্য নিগৃহিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আমবাদে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ব্লক ‘এ’-তে এই ঘটনাটি ঘটে। আহত কয়েকজন ছাত্রকে আহমেদাবাদের এসভিপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, লাঠি ও ছুরি নিয়ে বেশ কিছু বহিরাগত গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে হামলা চালায়। আফ্রিকান দেশ, আফগানিস্তান এবং উজবেকিস্তান থেকে আসা বিদেশী ছাত্রদের উপর নামাজ পড়ার অভিযোগে তারা হামলা চালায় বলেই অভিযোগ। এই পড়ুয়ারা নিজেদের ঘরে বসেই নমাজ পড়ছিলেন। সেই সময় একদল লোক এসে নমাজ পড়ার প্রতিবাদ জানান এবং চেঁচাতে শুরু করেন।নমাজ পড়ার প্রতিবাদে আসা ব্যক্তিরা নিজেদের ধর্মীয় স্লোগান দিতে শুরু করে। গভীর রাতের এমন এক ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় পড়ুয়াদের লাঠিসোটা নিয়ে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন-সিএএ-র বিরুদ্ধে পথে নামল মতুয়া সমাজ
ঘটনাটি ঘটে যখন ছাত্ররা হোস্টেলের ভিতরে রমজানের সময় রাতে দেওয়া নামাজ পড়ার জন্য জড়ো হয়েছিল। উত্তেজিত বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের ল্যাপটপ, ফোন ও বাইক ভাঙচুর করে। দ্রুত পুলিশে খবৰ দেওয়া হয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি গুজরাটের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেছেন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমদাবাদের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ দমন) নীরজকুমার বদগুজর এই বিষয়ে জানান, ইতিমধ্যে ঘটনার ওপর ভিত্তি করে একটি এফআইআর রুজু করা হয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।