প্রতিবেদন : বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধারকাজ থামিয়ে হাত তুলে নিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিন্তু গার্ডেনরিচের ভেঙে পড়া বেআইনি বহুতলের ধ্বংসস্তূপে এখনও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল ও কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। পাহাড়প্রমাণ ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও এক যুবক আটকে রয়েছেন বলে অনুমান। তাঁকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করতেই এখন ২৪ ঘণ্টা উদ্ধারকাজ চালাবে পুরকর্মীরা।
আরও পড়ুন-প্রচার মিছিলে কৃষ্ণ কল্যাণী, মহিলারা দিলেন জয়ধ্বনি
বৃহস্পতিবার সকালে ফের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঘুরে দেখেন উদ্ধারকাজ। কথা বলেন ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে থাকা যুবক শেরু নিজামির পরিবারের সঙ্গে। মেয়র জানিয়েছেন, একজন এখনও আটকে রয়েছেন। আমি তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। ওঁদের একটাই অনুরোধ, যতক্ষণ না দেহটা পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ উদ্ধারকাজ যেন বন্ধ না হয়। বুধবার সন্ধ্যায় এনডিআরএফ উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। আজ থেকে কলকাতা পুরসভা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। যতক্ষণ না ওই যুবকের দেহ পাওয়া যাবে, ততক্ষণ দিন-রাত উদ্ধারকাজ চলবে। মহানাগরিক আরও বলেন, উনি যে বেঁচে নেই, সেটা তাঁর পরিবারও নিশ্চিতভাবে জানে। কিন্তু যতক্ষণ না দেহ পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ স্বাভাবিকভাবেই একটা উদ্বেগ থাকে।
আরও পড়ুন-কর্মীদের লড়াইয়ের রূপরেখা ঠিক করলেন অরূপ
রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচের আজহার মোল্লা বাগানের অবৈধ বহুতলের ভেঙে পড়ার মর্মান্তিক ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময়। এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ওই যুবককে। রবিবার উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার পর শেরু নিজেই ফোনে জানান, তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন। কিন্তু তারপর থেকেই লাগাতার খোঁজ করেও ধ্বংসস্তূপের পাহাড় সরিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যদিও পুলিশ ও পুরসভার উদ্ধারকারী দল ক্রমাগত শেরুর খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। হাল ছাড়েননি শেরুর পরিবারও। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ওই বহুতলের নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করল কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলেই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে ন্যাশনাল টেস্টিং সেন্টারে। খতিয়ে দেখা হবে নির্মাণ সামগ্রীর গুণমান।