প্রতিবেদন : ২০০ ঘণ্টা পার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জের জবাবে এখনও নীরব বিজেপি। দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলেও এখনও রাজ্যের সব আসনে প্রার্থীর নামই ঘোষণা করতে পারেনি তাঁরা। এই নিয়ে শুক্রবার বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করল তৃণমূল (CAA- TMC)। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ও সিএএ আতঙ্কে রাজ্যে এক যুবকের আত্মহননের ঘটনা তুলে ধরে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রকে ধুইয়ে দিলেন মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা ও তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী।
শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে শশী পাঁজা বলেন, ২০০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জের জবাবে এগিয়ে এল না বিজেপি। আমরা বলছি, একশো দিন ও আবাসের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। ওঁরা বলছে, দিয়েছে। এ নিয়ে বিজেপিকে প্রকাশ্য সভায় বিতর্ক অথবা শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বিতর্ক সভায় আসা তো দূর, শ্বেতপত্র প্রকাশ নিয়েও নীরব বিজেপি। বাংলার মা-মাটি-মানুষ এখনও এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায়। রাজ্যের বিজেপি প্রার্থী নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ৪২ আসনে প্রার্থীদের নাম এখনও ঘোষণা করতে পারল না বিজেপি। সর্বভারতীয় স্তরে তালিকা বের হলেও সেখানে বাংলার নাম নেই। এতেই পরিষ্কার, এ রাজ্যে তাঁরা প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টে বিজেপি আইনজীবীদের অসভ্যতা, ন্যক্কারজনক ঘটনা বলে তোপ প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের
নির্বাচনী আবহে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। কেজরিওয়ালের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শশী পাঁজা বলেন, এ রাজ্যে একদিনে তিনবার ডিজি পরিবর্তন করেছে কমিশন। জেলাশাসকদেরও সরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এ রাজ্যে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির কোনও অফিসারকে তো সরানো হচ্ছে না! কেন এই পক্ষপাতিত্ব? এই কমিশনের কাছ থেকে এরপর আমরা কীভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করব? সিএএ-আতঙ্কে (CAA- TMC) গতকালই আমরা এক সহ-নাগরিককে হারিয়েছি। দেশের ৪০ লক্ষ নাগরিক এই আতঙ্কে ভুগছেন। কেন্দ্রের এই কালা আইনকে নিশানা করে তিনি বলেন, অসমে ২০ লক্ষ নাগরিককে বাদ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালি। ১৮৪ জন আত্মহত্যা করেছেন, এর দায় কে নেবে? অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের সহ-নাগরিক দেবাশিস সেনগুপ্তর অকালমৃত্যু আমাদের রাজ্য তথা গোটা দেশকে নাড়া দিয়েছে। এর জন্য দায়ী কেন্দ্রের দানবিক আইন। যে আতঙ্ক কেড়ে নিল একটা তরতাজা প্রাণ। কে নেবে এর দায়? বাবার জন্মের কাগজ না থাকায় আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে, এই ভয়েই আত্মহনন করলেন। বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলছেন, তিনিও নাগরিকত্বের আবেদন জানাবেন। প্রশ্ন, তিনি কি নাগরিক নন? তাহলে তিনি কীভাবে সাংসদ? কীভাবে মন্ত্রী? সেটাও তো বেআইনি। তাহলে তো প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনটাও বেআইনি।