প্রতিবেদন : শীর্ষ আদালতের নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানতে বাধ্য রাজ্যপাল। যতই রাজ্যপালের হাতে ক্ষমতা দেওয়া থাকুক, তা হলেও রাজ্যের আইনের বৈধতা নিয়ে কোনওরকম প্রশ্ন করতে পারবেন না আচার্য তথা রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোসকে নিজের এক্তিয়ার বোঝালেন ওয়েবকুপার সভাপতি তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। রাজ্যপালের ভূমিকা এতটাই অস্বচ্ছ ও আইন বিরোধী যে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিঘ্নিত হচ্ছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে পড়াশোনা। শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা প্রত্যেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কেন্দ্রের শাসকদলের কথায় প্রভাবিত হয়ে সমস্যা তৈরি করছেন রাজ্যপাল।
এদিন ব্রাত্য বসু রাজ্যপালকে একহাত নিয়ে বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনওটাই রাখেননি রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এবং আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেও যাবতীয় তথ্য নিয়েও তার সমাধান করেননি। এর ফলে আলোচনাও নিষ্ফলা হচ্ছে এবং সময় নষ্ট হচ্ছে। রাজ্য সদিচ্ছা দেখালেও রাজ্যপাল কোনও ইচ্ছে দেখাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন- পাঞ্জাবে বিষমদকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
এরপরেই আচার্যকে তাঁর এক্তিয়ার বুঝিয়ে দিয়ে ব্রাত্য (Bratya Basu) বলেন, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আচার্যকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে চলতে হবে। তাঁকে যতই ক্ষমতা দেওয়া হোক না কেন রাজ্যের আইনের বৈধতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন করতে পারবেন না। বরং ওই রাজ্যের আইন মানতে তিনি বাধ্য।
এরপর এই রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্যের বৈধতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। কারণ নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্যকে অবশ্যই শিক্ষা জগতের লোক হতে হবে এবং তার সর্বোচ্চ কাজের মেয়াদের বয়সসীমা হতে হবে ৬৫ বছর। বড় জোর সেক্ষেত্রে ৬ মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কিন্তু বর্তমানের রবীন্দ্র ভারতীতে যিনি উপাচার্য রয়েছেন তিনি তো শিক্ষা জগতের লোক ননই উপরন্তু তাঁর বয়স ৬৮ বছর হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের তুঘলকি সিদ্ধান্তের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যেভাবে অচলাবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে তা কোনওভাবেই সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না।